Supreme Court

Supreme Court: ‘সরকারি মিথ্যে ফাঁস করা উচিত’

বর্তমান পরিস্থিতিতে চিকিৎসা সংক্রান্ত সত্য জানার জন্য সরকারের উপর বাড়তি নির্ভরতা নিয়ে সতর্ক করেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২১ ০৬:৩৮
Share:

মন্তব্য করলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ফাইল চিত্র

দেশের বিশিষ্ট জনেদের সরকারের মিথ্যে ফাঁস করে দেওয়া উচিত বলে আজ এক অনুষ্ঠানে মন্তব্য করলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মিথ্যাচার, মিথ্যে খবর, ভুয়ো প্রচারের মতো বিষয় আটকাতে সরকারেরর উপরে নজরদারি রাখা দরকার।’’

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টের ষষ্ঠ প্রধান বিচারপতি এম সি চাগলার স্মারক বক্তৃতায় অংশ নিয়ে বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানান, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে চিকিৎসা সংক্রান্ত সত্য জানার জন্য সরকারের উপর বাড়তি নির্ভরতা নিয়ে সতর্ক করেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। আর এই প্রসঙ্গেই তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সংবাদমাধ্যমের গুরুত্বের কথা। বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বক্তব্য, ‘‘আস্থা রাখার মতো সংবাদমাধ্যমও দরকার। রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত সংবাদমাধ্যমই সরকারকে তার কাজ এবং নীতির জন্য নিশানা করতে পারে।’’

করোনা-কালে সরকারের দেওয়া তথ্য নিয়ে বারবারই সন্দেহপ্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞ, সমাজকর্মী এবং সাংবাদিকদের একাংশ। অভিযোগ উঠেছে, সরকার সংক্রমণ এবং মৃত্যুর প্রকৃত তথ্য গোপন করছে।

Advertisement

এ দিন তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘সত্যের জন্য কারও শুধু সরকারের উপর নির্ভর করা উচিত নয়। স্বৈরতান্ত্রিক সরকার তাদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য মিথ্যার উপরে ক্রমাগত ভরসা করে। আমরা দেখছি, বিশ্বের অনেক দেশের মধ্যেই করোনা-তথ্যে কারচুপি করার প্রবণতা দেখা দিয়েছে।’’
বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘মিথ্যে খবরের রমরমা ক্রমশ বাড়ছে। করোনা অতিমারির সময়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (হু) এটা মেনেছে। মানুষের ধর্মই হল, তারা অতিরঞ্জিত খবরের দিকে আকৃষ্ট হয়। সেই খবরগুলো প্রায়শই মিথ্যাকে আশ্রয় করে ছড়িয়ে পড়ে।’’

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে করোনা অতিমারি যখন সবে বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে, তখনই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভুয়ো খবরের ব্যাপারে সতর্ক করেছিল।

বিচারপতি চন্দ্রচূড় এ দিন ছাড় দেননি সামাজিক মাধ্যমগুলিকেও। তাঁর বক্তব্য, মিথ্যে খবর ছড়ালে টুইটার-ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যমকে দায়বদ্ধ করা উচিত। তবে একই সঙ্গে জনগণকেও এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement