প্রশান্ত ভূষণ।— ফাইল চিত্র।
বিচারপতিদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আদালত অবমাননার মামলা হলে কী পদ্ধতি মেনে চলা উচিত তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট। এ নিয়ে তিনটি প্রশ্নের উপরে সওয়াল শুনবে শীর্ষ আদালত।
প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবডে সম্পর্কে একটি টুইটের জেরে মামলায় ইতিমধ্যেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। আজ তাঁর ও সাংবাদিক তরুণ তেজপালের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের একটি অবমাননা মামলার শুনানি ছিল। একটি পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে সুপ্রিম কোর্টের কয়েক জন বিচারপতি ও প্রাক্তন বিচারপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন প্রশান্ত। তেজপাল তখন সেই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
আজ প্রশান্তের আইনজীবী রাজীব ধবন সওয়ালে বলেন, এই বিষয়ে আইনের কিছু প্রশ্ন আছে, যা নিয়ে বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানি হওয়া উচিত। তেজপালের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, মামলাটি খারিজ করে দেওয়া উচিত। কিন্তু বিচারপতি অরুণ মিশ্রের বেঞ্চ জানায়, আইনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠেছে। সেগুলি নিয়ে প্রবীণ আইনজীবীদের মতামত খুঁটিয়ে শোনা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: শিক্ষানীতির দ্রুত প্রয়োগ চায় কেন্দ্র
কখন প্রকাশ্যে বিচারপতিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা যায়, সেই অভিযোগ নিয়ে কী পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত, তা নিয়েই শুনানি হবে বলে জানিয়েছে বেঞ্চ। ২৪ অগস্ট ফের শুনানি।
এ দিন আদালত অবমাননার মামলায় প্রশান্ত ভূষণের দোষী সাব্যস্ত হওয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ও জনসাধারণের উদ্দেশে একটি প্রকাশ্য বিবৃতি দিয়েছেন ৪২ জন প্রবীণ আইনজীবী। তাতে বলা হয়েছে, প্রশান্ত ভূষণের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার রায়ে তাঁরা হতাশ। স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা, স্বাধীন বিচারপতি ও স্বাধীন আইনজীবী সাংবিধানিক গণতন্ত্রের অংশ।
ওই আইনজীবীরা জানিয়েছেন, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার অর্থ এই নয় যে বিচারপতিরা সমালোচনার ঊর্ধ্বে থাকবেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘প্রশান্তের টুইটের বক্তব্য নিয়ে আমাদের মতভেদ থাকতে পারে। কিন্তু তাতে আদালতের অবমাননা করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি না। আমরা আশা করি, সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে মানুষের মত শুনবে ও উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে।’’