লোভ দেখিয়ে বা জোর করে ধর্মান্তরণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।
ধর্মান্তরণকে ‘অত্যন্ত গুরুতর বিষয়’ বলে চিহ্নিত করল সুপ্রিম কোর্ট। ধর্মান্তরণ বিরোধী আইন চালুর জন্য কেন্দ্রের পদক্ষেপের দাবিতে একটি আবেদনের শুনানিতে সোমবার শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ— ‘ধর্মান্তরণের মতো গুরুতর বিষয়ে কখনও রাজনীতির রং লাগানো উচিত নয়।’
বিচারপতি এমআর শাহ এবং সিটি রবিকুমারের বেঞ্চ সোমবার এই শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামানিকে সেই বিষয়ে হাজির হতে বলেছিল। দুই বিচারপতির বেঞ্চ তাঁর কাছে জানতে চায়, জোর করে এবং ভয় বা লোভ দেখিয়ে ধর্মান্তরণ রুখতে কেন্দ্র কী পদক্ষেপ করছে।
প্রসঙ্গত, ‘লভ জেহাদ’ রোখার যুক্তি দিয়ে ইতিমধ্যেই ধর্মান্তরণ-বিরোধী আইন পাশ করিয়েছে উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত-সহ বিভিন্ন রাজ্য। তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলাও দায়ের হয়েছে। ধর্মান্তরণ বিরোধী আইনের সমালোচকদের যুক্তি, দেশের সংবিধানে যেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা, সমানাধিকার এবং বৈষম্যহীনতার কথা বলা রয়েছে, সেখানে এই ধরনের আইন অসাংবিধানিক।
অন্য দিকে, সুপ্রিম কোর্টে সোমবার শুনানি ছিল আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের আবেদনের। সেখানে আবেদন জানানো হয়েছিল, জোর করে এবং লোভ দেখিয়ে ধর্মান্তরণ রুখতে দেশের সব রাজ্যকে কড়া নির্দেশ দিক কেন্দ্র। ধর্মান্তরণ-বিরোধী আইন প্রণয়নের বিরোধিতা করে তামিলনাড়ু সরকারের আইনজীবী পি উইলসন সোমবার বলেন, ‘‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এমন মামলা করা হয়েছে।’’ তখনই দুই বিচারপতির বেঞ্চ তাঁকে সতর্ক করে বলে, ‘ধর্মান্তরণের মতো গুরুতর বিষয়ে রাজনীতির রং লাগাবেন না।’
কেন্দ্রের পাশাপাশি ধর্মান্তরণ নিয়ে রাজ্যগুলিরও মতামত চেয়েছে শীর্ষ আদালত। গুজরাত সরকারের তরফে গত মাসে সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয়েছে, ভারতীয় সংবিধানে ধর্মাচরণের যে অধিকার দেওয়া হয়েছে, তা কোনও ভাবেই ধর্মান্তরণের অধিকার হতে পারে না।