গত বছরে নেওয়া স্টাফ সিলেকশন কমিশনের (এসএসসি) স্নাতক স্তরের পরীক্ষা বাতিল করা নিয়ে কেন্দ্রের মত চাইল সুপ্রিম কোর্ট।
এসএসসি-র স্নাতক স্তরের পরীক্ষার মাধ্যমে সি ও ডি শ্রেণির সরকারি কর্মী নিয়োগ করা হয়। গত বছরে এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ ওঠে। কিন্তু সেই ঘটনায় যুক্ত ব্যক্তিরা এখনও ধরা পড়েনি। ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে বিক্ষোভের পাশাপাশি শুরু হয় আইনি লড়াই।
আজ সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ওই প্রশ্ন ফাঁসে কাদের লাভ তা খুঁজে বার করা কঠিন। তাই পরীক্ষা বাতিল করা উচিত। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা সিবিএসই-কে নতুন পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করে বিচারপতি এস এ বোবদে ও বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের বেঞ্চ। বিচারপতিদের কথায়, ‘‘প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষার ফলপ্রকাশ স্থগিত রাখি। সিবিআই বা অন্য সংস্থা তদন্ত করলেও কোন কোন পরীক্ষার্থী প্রশ্ন ফাঁসের সুবিধে পেয়েছেন তা বোঝা কঠিন। তাই পরীক্ষার্থীদের স্বার্থেই পরীক্ষা বাতিল করা উচিত।’’ বেঞ্চের মতে, ‘‘যাঁরা এই ধরনের ঘটনার সুবিধে নেন তাঁদের বার্তা দিতেই কড়া পদক্ষেপ করা প্রয়োজন।’’
আবেদনকারী শান্তনু কুমারের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ জানান, যে বেসরকারি সংস্থাকে পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই সুপ্রিম কোর্ট এসএসসি বা অন্য কোনও সংস্থাকে ওই পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিতেই পারে। কেন্দ্রের আইনজীবী তুষার মেটা জানান, কেবল একটি প্রশ্নপত্রের ক্ষেত্রেই প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্য সমস্যা হয়েছে। গোটা পরীক্ষা বাতিলের প্রয়োজন নেই। জবাবে বেঞ্চ জানায়, সিবিআই রিপোর্টে অন্য কথা বলা হয়েছে। মেটা জানান, সিবিআই সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তাই তা দেখার সুযোগ পাননি তিনি। এর পরে বিচারপতিরা বলেন, ‘‘সে ক্ষেত্রে রিপোর্ট দেখে জবাব দিন।’’ ১৩ নভেম্বর ফের শুনানি।