Arvind Kejriwal

আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরীর গ্রেফতারি কি ইডির বেআইনি পদক্ষেপ? শুক্রে রায় সুপ্রিম কোর্টের

ইডির গ্রেফতারি বেআইনি, এমন দাবি করে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন অরবিন্দ কেজরীওয়াল। কিন্তু হাই কোর্ট তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৪ ০৯:২৮
Share:

অরবিন্দ কেজরীওয়াল। — ফাইল চিত্র।

আবগারি মামলায় ধৃত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আবেদন সম্পর্কে শুক্রবার রায় ঘোষণা করতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধানকে গ্রেফতারি কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর বেআইনি পদক্ষেপ কি না, সে সম্পর্কেই বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিতে পারে।

Advertisement

উল্লেখ্য, ইডির গ্রেফতারি বেআইনি, এমন দাবি করে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন কেজরী। কিন্তু হাই কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, ইডির গ্রেফতারি বেআইনি নয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান। শুনানি পর্বের শেষে গত ১৭ মে রায় সংরক্ষিত রেখেছিল দুই বিচারপতির বেঞ্চ।

শীর্ষ আদালত কেজরীর গ্রেফতারিকে ‘বেআইনি’ বললে তিহাড় জেল থেকে তাঁর মুক্তি মিলতে পারে। গত ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরীকে গ্রেফতার করে ইডি। তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেননি। ফলে দেশের ইতিহাসে তিনিই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যাঁকে পদে থাকাকালীন গ্রেফতার করা হয়। এর পর লোকসভা ভোটের সময়ে তাঁকে কিছু দিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার মেয়াদ শেষ হলে ২ জুন আবার তিহাড় জেলে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন কেজরী।

Advertisement

গত ২০ জুন দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত কেজরীর স্থায়ী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিল। ইডির তরফে বৃহস্পতিবার কেজরীর জামিন ৪৮ ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করা হলেও বিচারক ন্যায় বিন্দু এক লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন দিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন করেছিল ওই মামলার তদন্তকারী সংস্থা ইডি। আবগারি দুর্নীতিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ১০০ কোটি টাকার ঘুষ চেয়েছিলেন বলেও হাই কোর্টকে জানায় ইডি।

পাশাপাশি, দিল্লি হাই কোর্টে ইডির তরফে অভিযোগ করা হয়, ‘বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন’ (পিএমএলএ)-এর ৪৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী জামিনের বিরোধিতা করে জমা দেওয়া নথিগুলির যথাযথ ভাবে বিবেচনা করার কথা ছিল রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের। কিন্তু বিচারক বিন্দু তা করেননি। গত ২৫ জুন ইডির আবেদন মেনে বিচারপতি সুধীরকুমার জৈন এবং বিচারপতি রবীন্দ্র দুদেজার অবকাশকালীন বেঞ্চ কেজরীর জামিন খারিজ করে দেয়। এর পরে তিহাড় জেলবন্দি কেজরীকে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের অনুমোদনে হেফাজতে নেয় আবগারি মামলার আর এক তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। ঘটনাচক্রে, সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে শুক্রবার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement