সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)-র বিরুদ্ধে ২৩২টি আবেদন নিয়ে কেন্দ্র, অসম, ত্রিপুরা সরকার ও আবেদনকারীদের অবস্থান জানাতে তিন সপ্তাহ সময় দিল সুপ্রিম কোর্ট। মামলার শুনানি হবে ৬ ডিসেম্বর। আজ প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত এই নির্দেশ দেন। তিনি ৮ নভেম্বর অবসর নেবেন। ফলে মামলার শুনানি হবে অন্য বেঞ্চে। শুনানির সময়ে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, কেন্দ্র ইতিমধ্যেই জানিয়েছে সিএএ ক্ষতিকর আইন নয়। অসম ও ত্রিপুরা এখনও তাদের অবস্থান জানায়নি।
আবেদনকারী আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি জানান, ২০০ জন না ৭৫ জন আবেদনকারী রয়েছেন, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আবেদনগুলির মূল বিষয় এক। আদালতের উচিত একটি আবেদনকে মূল আবেদন হিসেবে ধরে নিয়ে শুনানি শুরু করা। আদালত ইন্ডিয়ান মুসলিম লিগের আবেদনকে মূল আবেদন হিসেবে ধরেছে সুপ্রিম কোর্ট। সংগঠনের কৌঁসুলি পল্লবী প্রতাপকে আবেদনকারীদের নোডাল আইনজীবী হিসেবে কাজের নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ। সরকারের নোডাল আইনজীবীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কানু আগরওয়ালকে। সব পক্ষকে তাদের নথি দুই নোডাল আইনজীবীর কাছে জমা দিতে বলেছে বেঞ্চ।
পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা অ-মুসলিম শরণার্থীদের দ্রুত নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে এই আইনে। আবেদনকারীরা জানিয়েছেন, তাঁরা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিরোধী নন। কিন্তু এই আইনে ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য করা হয়েছে। তাঁরা সেই বৈষম্যের বিরোধী। মুসলিমদের এই আইনের আওতা থেকে বাইরে রাখা ধর্মীয় বৈষম্যের শামিল। ভারতে সব ধর্মের বাসিন্দাকে সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে। এই আইন তারও বিরোধী। ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী নাগরিকত্বের অধিকার পাওয়া যায় জন্মসূত্রে বা ভারতে বসবাসের ফলে উদ্ভূত অধিকারের ফলে। কিন্তু এই আইনে ধর্মকে নাগরিকত্বের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। তা ধর্মনিরপেক্ষতার বিরোধী। ধর্মনিরপেক্ষতা সংবিধানের মূল কাঠামোর অংশ।