Supreme Court

বিচারের গতিকে কি শ্লথ করে স্থগিতাদেশ? খতিয়ে দেখতে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের

ফৌজদারি মামলায় কোনও স্থগিতাদেশ কি বিচারের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে? বিচারের গতি কি শ্লথ হয়ে যায় তার কারণে? বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শীর্ষ আদালত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:৩১
Share:

কোনও স্থগিতাদেশ ফৌজদারি মামলার বিচারে প্রভাব ফেলে কি না, খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে কোনও স্থগিতাদেশ কি বিচারের উপর প্রভাব ফেলে? আদালতের দেওয়া কোনও স্থগিতাদেশ কি বিচারের গতিকে শ্লথ করে দেয়? বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি এ বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছে শীর্ষ আদালত। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, আগামী সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে মামলার শুনানি হবে। বিভিন্ন সময়ে নিম্ন আদালতের নির্দেশে উপর স্থগিতাদেশ জারি করতে দেখা দিয়েছে উচ্চতর আদালতকে। মামলার অগ্রগতি এবং সেই সংক্রান্ত সমস্ত দিক বিবেচনা করেই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। তবে ফৌজদারি মামলার বিচারের উপর তার কোনও বিরূপ প্রভাব পড়ে কি না, তা খতিয়ে দেখতে চাইছে সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

বিভিন্ন মামলায় বিচার পেতে দেরি হওয়ার বিষয়টি অতীতে একাধিক বার উঠে এসেছে শীর্ষ আদালতের আলোচনায়। সম্প্রতি আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনের আওতায় অভিযুক্ত তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মন্ত্রী সেন্থিল বালাজিকে জামিন দেওয়ার সময়েও সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে মন্তব্য করে। ২০১৮ সালের একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, যে কোনও ফৌজদারি বা দেওয়ানি মামলার বিচারে স্থগিতাদেশ সর্বাধিক ছয় মাস পর্যন্ত থাকতে পারে। তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ পূর্বের নির্দেশ খারিজ করে দেয়। ফেব্রুয়ারিতে শীর্ষ আদালত জানায়, ছয় মাস পরে নিজে থেকে মামলাগুলির উপর থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়ে যায় না।

এ বার ফৌজদারি মামলাগুলির বিচারের উপর দেওয়া স্থগিতাদেশ কোনও বিরূপ প্রভাব ফেলে কি না, তা বিবেচনা করে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শীর্ষ আদালত। ঘটনাচক্রে, পশ্চিমবঙ্গের জয়নগরে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছে বারুইপুরের ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। শুক্রবার তাঁর ফাঁসির সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়েছে ৮ অক্টোবর। ওই ঘটনার ৬৪ দিনের মাথায় সাজা ঘোষণা করে নিম্ন আদালত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement