বাজেয়াপ্ত হওয়া সেই টাকা। ছবি: সংগৃহীত।
আর্থিক প্রতারণা মামলায় মুম্বই এবং আমদাবাদের সাত জায়গায় তল্লাশি চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ১৯৬ কোটির আর্থিক প্রতারণা মামলায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে শুক্রবার। নাসিক ব্যবসায়িক সমবায় ব্যাঙ্কে ১০০ কোটি টাকারও বেশি সন্দেহভাজন আর্থিক লেনদেন অভিযোগ ওঠে। গত ৭ নভেম্বর মালেগাঁও চওয়ান্নি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
অভিযোগ, নাসিক ব্যবসায়িক সমবায় ব্যাঙ্কে ১৪টি নতুন অ্যাকাউন্টে ১০০ কোটির বেশি টাকা জমা পড়েছে। বেআইনি লেনদেনের অভিযোগ জমা পড়ে ইডির কাছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে ইডি। বৃহস্পতিবার তদন্তকারী সংস্থার বেশ কয়েকটি দল মুম্বই এবং গুজরাতের আমদাবাদে তল্লাশি অভিযান চালায়। তখনই ওই দুই শহর থেকে সাড়ে ১৩ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা।
ইডি সূত্রে খবর, সিরাজ আহমেদ হারুন মেমন এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। ভুয়ো তথ্য দিয়ে এবং ভুয়ো পরিচয় ব্যবহার করে এই বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেন করার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমে নাসিকের আরও একটি ব্যাঙ্কে এ রকম পাঁচটি অ্যাকাউন্টের হদিস পেয়েছে ইডি। সেই অ্যাকাউন্টগুলিতেও কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। আর সবক’টি অ্যাকাউন্ট এক জনের নামেই। এমনই দাবি ইডির। নাসিক ব্যবসায়িক সমবায় ব্যাঙ্কে এ রকম ১৪টি এবং অন্য একটি ব্যাঙ্কে আরও পাঁচটি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে।
ইডি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, নগনি আক্রম মহম্মদ শফি এবং ওয়াসিম ভালিমহম্মদ ভেসানিয়া নামে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমদাবাদ, মুম্বই এবং সুরাতে টাকা পাচারের অভিযোগ উঠেছে। মেহমুদ ভগদ নামে এক ব্যক্তির নির্দেশে টাকা লেনদেন কাজ করতেন বাকি দুই অভিযুক্ত। তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।