দিল্লির রাস্তায় শুটআউট। ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন শনিবার সকালে। ছবি: এক্স।
প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হল এক ব্যবসায়ীর। দিল্লির রাস্তায় প্রকাশ্যে তাঁকে গুলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তিনি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। বাইকে করে দু’জন পিছন দিক থেকে এসে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। পর পর সাত থেকে আট রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তিন থেকে চারটি গুলি ব্যবসায়ীর শরীর বিদ্ধ করেছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
উত্তর-পূর্ব দিল্লির শাহদরা এলাকার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, নিহতের নাম সুনীল জৈন (৫২)। বাসনপত্রের ব্যবসা ছিল তাঁর। যমুনা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের রাস্তা দিয়ে শনিবার সকালে হেঁটে যাচ্ছিলেন সুনীল। প্রতি দিন নিয়ম করে প্রাতর্ভ্রমণে বেরোতেন। আচমকা তাঁকে লক্ষ্য করে কেন গুলি চালানো হল, বলতে পারছেন না পরিবারের সদস্যেরাও।
গুলি চালিয়েই ঘটনাস্থল থেকে বাইক নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সাতসকালে আচমকা গুলির শব্দে চমকে উঠেছিলেন সকলে। এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছে ফরস বাজার থানার পুলিশ। তারা ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। রাস্তার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের তার মাধ্যমেই চিহ্নিত করতে চাইছে পুলিশ।
নিহতের পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। কারও সঙ্গে প্রৌঢ়ের শত্রুতার কথা তাঁরা মনে করতে পারছেন না। গত কয়েক দিনে তিনি কোনও হুমকিও পাননি। ফলে খুনের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
সকাল সকাল রাজধানীতে এই ধরনের ঘটনায় সেখানকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দিল্লির আপ সরকার এক হাত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশকে। আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ বলেছেন, দিল্লিকে ‘অপরাধের রাজধানী’ বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেছেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালও।