Supreme Court of India

‘সংবিধানসম্মত নয়’, মরাঠাদের জন্য সংরক্ষণ খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট

শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ বলেছে, এর ফলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে অনগ্রসর শ্রেণির মানুষদের জন্য বিধিবদ্ধ ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২১ ১৬:৪১
Share:

-ফাইল ছবি।

সরকারি চাকরি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মরাঠাদের জন্য যে ১৬ শতাংশ আসন সংরক্ষণের আইন চালু করেছিল মহারাষ্ট্রের পূর্বতন বিজেপি সরকার, ‘সংবিধানসম্মত’ নয় জানিয়ে তা বাতিল করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার একটি রায়ে শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ বলেছে, এর ফলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে অনগ্রসর শ্রেণির মানুষদের জন্য বিধিবদ্ধ ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

Advertisement

আদালত অবশ্য এও জানিয়েছে, ওই সংরক্ষণ আইন মোতাবেক যাঁরা ইতিমধ্যেই সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র পেয়েছেন অথবা যে সব ছাত্র মেডিক্যালের পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন কোর্সে ঢোকার সুযোগ পেয়েছেন, আদালতের বুধবারের আদেশে তা বিঘ্নিত হবে না।

২০১৮ সালে মরাঠা সম্প্রদায়ের জন্য এই সংরক্ষণ চালু করেছিল মহারাষ্ট্রের তদানীন্তন বিজেপি সরকার। একটি মামলার প্রেক্ষিতে সেই আইনের সাংবিধানিক বৈধতা পরীক্ষা করে দেখে বিচারপতি অশোক ভূষণ, এল নাগেশ্বর রাও, এস আবদুল নাজির, হেমন্ত গুপ্তা এবং এস রবীন্দ্র ভাটকে নিয়ে গড়া শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ।

মরাঠাদের জন্য মহারাষ্ট্রের পূর্বতন সরকারের সংরক্ষণ আইন বাতিল করতে গিয়ে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের ৫ সদস্যের বেঞ্চ বলেছে, ‘‘সংসদে অনুমোদিত সর্বশেষ সংশোধনী অনুযায়ী সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে অনগ্রসর শ্রেণির তালিকায় অন্য কোনও জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষমতা রাজ্যগুলির হাতে নেই। রাজ্যগুলি শুধু সেই সব শ্রেণি বা জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করতে পারে। তাদের তালিকাভুক্ত করার জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করতে পারে। জাতীয় অনগ্রসর শ্রেণি কমিশনের তদারকিতে বানানো সেই তালিকায় অন্য কোনও শ্রেণি বা জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন একমাত্র রাষ্ট্রপতিই।’’

শীর্ষ আদালত এও জানিয়েছে, ১৯৯২ সালে মণ্ডল কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে দেওয়া আদালতের রায়ে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে অনগ্রসর শ্রেণির জন্য যে ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের ঊর্ধ্বসীমা ধার্য হয়েছিল তা পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন অনুভূত হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement