গণপিটুনি বন্ধ করতে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কী করছে, তা জানতে চেয়ে নোটিস জারি করল সুপ্রিম কোর্ট।
মুসলিম মহিলাদের অধিকারের কথা বলে মোদী সরকার তিন তালাকে শাস্তির বিল আনছে। কিন্তু মোদী-রাজত্বে ক্রমবর্ধমান গণপিটুনি, বিশেষ করে ভিড় জমিয়ে মুসলিমদের মারধর ঠেকাতে সুপ্রিম কোর্টের সুপারিশ সত্ত্বেও আইন আনছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। তিন তালাক বিলের বিতর্কে বিরোধী দলের সাংসদরা মোদী সরকারকে এ নিয়ে প্রশ্নও করেছিলেন।
আজ একই প্রশ্নের জবাব চেয়ে সুপ্রিম কোর্ট অমিত শাহের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে নোটিস জারি করেছে। এক বছর আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বেঞ্চ সুপারিশ করেছিল, দেশে গণপিটুনি বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় সরকার নতুন আইন আনুক। গণপিটুনি রুখতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির জন্য নির্দেশিকাও তৈরি করে দিয়েছিল। সেই নির্দেশের কতটা পালন হয়েছে, তা জানতে চেয়ে আজ পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাত, অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও জম্মু-কাশ্মীর সরকারকে নোটিস পাঠানো হয়েছে।
শীর্ষ আদালতের সুপারিশ ছিল, সংসদে গণপিটুনি রুখতে আইন তৈরি হোক। কড়া শাস্তির ব্যবস্থা হোক। বিশেষ আইন হলে মানুষের মনে এই হিংসায় জড়িয়ে পড়ার আগে ভয় তৈরি হবে। ২০১৮-র ১৭ জুলাই এই রায় হলেও গত এক বছরে মোদী সরকার এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি। গণপিটুনিও বন্ধ হয়নি। উল্টে ‘জয় শ্রীরাম’ বলার জন্য চাপ দিয়ে মুসলিমদের মারধরের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পালন হচ্ছে না অভিযোগ তুলে একটি সংগঠন এ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করে। আজ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ তার ভিত্তিতেই কেন্দ্র ও ১০টি রাজ্যের কাছে জবাব চেয়েছে।