বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, সিনেমা হল এবং মাল্টিপ্লেক্সের নিজস্ব শর্ত বহাল রাখার অধিকার রয়েছে। ছবি: প্রতীকী
সিনেমা হলে বাইরে থেকে খাবার নিয়ে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ২০১৮ সালে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীর হাই কোর্ট। জানিয়েছিল, এই নিয়মের ফলে দর্শকেরা প্রেক্ষাগৃহে যা বিক্রি হয়, তা খেতে বাধ্য হন। খাবার নিয়ে ঢোকার উপর এই নিষেধাজ্ঞা নিয়েই পিটিশন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার সেই মামলা শুনছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিংহের বেঞ্চ। তার পরিপ্রেক্ষিতেই বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, সিনেমা হল এবং মাল্টিপ্লেক্সের নিজস্ব শর্ত বহাল রাখার অধিকার রয়েছে। সিনেমা হলে খাবার, পানীয় নিয়ে ঢোকা যাবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ারও অধিকার রয়েছে কর্তৃপক্ষের।
মঙ্গলবার ওই বেঞ্চ তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, সিনেমা হল জিম নয় যে, সেখানে বসে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। এটা বিনোদনের জায়গা। সিনেমা হল বেসরকারি সম্পত্তি। তাই তার মালিকই ঠিক করবেন বিধিনিয়ম। সিনেমা হলের ভিতরে অস্ত্র নিয়ে ঢোকার অনুমতি নেই। ধর্ম, শ্রেণির বিভেদ করা যাবে না। এ সব নিয়ম একদম ঠিক। তা বলে কোনও হাই কোর্ট কী ভাবে বলতে পারে যে, সেখানে বাইরে থেকে যা খুশি খাবার নিয়ে ঢোকা যাবে। বেঞ্চ এ-ও জানিয়েছে, এক বার সিনেমা হলে ঢুকে পড়লে দর্শকরা সেখানকার নিয়ম মানতে বাধ্য।
বেঞ্চের বিচারপতিদের ব্যাখ্যা, ‘‘ধরুন কোনও দর্শক জিলিপি নিয়ে ঢুকলেন সিনেমা হলে। কর্তৃপক্ষ বাধা দিতেই পারে। জিলিপি খেয়ে তিনি যদি রসমাখা আঙুল আসনে মোছেন, তা হলে তা পরিষ্কারের খরচ কে দেবে? বাইরে থেকে খাবার আনার অনুমতি দিলে কেউ তন্দুরি চিকেনও আনতেই পারেন। তখন প্রেক্ষাগৃহে হাড় পড়ে থাকার অভিযোগ আসবে। এর ফলে সমস্যায় পড়তে পারেন অন্য দর্শকেরা। প্রেক্ষাগৃহের ভিতরে কেউ দর্শকদের পপকর্ন কিনতে বাধ্য করেননি।’’ বেঞ্চ আরও জানায়, প্রেক্ষাগৃহের ভিতর লেবু জলের দাম ২০ টাকা হলে কোনও দর্শক বলতে পারেন না যে, বাইরে থেকে লেবু কিনে এনে জলে মিশিয়ে খাবেন।