Bike Taxi

দিল্লিতে নয় অ্যাপ-নির্ভর বাইক ট্যাক্সি, কেজরী সরকারের নিষেধাজ্ঞায় সায় দিল সুপ্রিম কোর্ট

দিল্লি সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী এ বার দিল্লির রাস্তায় ওলা, উবর বা র‌্যাপিডোর কোনও দু’চাকার ভাড়ারক গাড়ি চলতে দেখা যায়, তবে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২৩ ১৭:৫৯
Share:

দিল্লিতে আর দেখা যাবে না এমন বাইক ট্যাক্সি। ফাইল চিত্র।

দিল্লিতে আর অ্যাপ-নির্ভর মোটরবাইক ট্যাক্সি চলবে না। অরবিন্দ কেজরীওয়াল সরকারের সিদ্ধান্তে সায় দিয়ে সোমবার এ কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লি সরকারের আবেদন মেনে সোমবার শীর্ষ আদালত এ বিষয়ে দিল্লি হাই কোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে।

Advertisement

গত ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লি পরিবহণ দফতর বাইক ট্যাক্সিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। ফলে যাঁরা যাতায়াতের জন্য ওলা, উবর কিংবা র‌্যাপিডোর মতো সংস্থার বাইকের উপর ভরসা করে থাকেন, তাঁরা সমস্যায় পড়েছিলেন। সমস্যায় পড়েছিল অনলাইন বাইক ট্যাক্সি পরিষেবা সংস্থাগুলিও। তাদের তরফে দিল্লি হাই কোর্টে মামলাও করা হয়। এর পর মে মাসে দিল্লি হাই কোর্ট কেজরী সরকারের সিদ্ধান্ত কার্যকরের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল।

কিন্তু দিল্লি সরকার হাই কোর্টের নির্দেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানায়। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে খারিজ হয়ে গেল দিল্লি হাই কোর্টের সেই স্থগিতাদেশ। ফলে দিল্লি সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, এ বার দিল্লির রাস্তায় ওলা, উবর বা র‌্যাপিডোর কোনও দু’চাকার গাড়ি চলতে দেখা যায়, তবে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হবে। যদি জরিমানার পরেও দ্বিতীয় বার বাইক চলতে দেখা যায়, সে ক্ষেত্রে জরিমানার অঙ্ক দ্বিগুণ হয়ে যাবে। ১০ হাজার টাকা দিতে হবে জরিমানা হিসাবে।

Advertisement

তা ছাড়া, চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সও ন্যূনতম তিন বছরের জন্য বাতিল করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি, ১৯৮৮ সালের মোটর ভেহিকল আইন অনুযায়ী ওলা, উবরের মতো অনলাইনে পরিবহণ পরিষেবা দেওয়া সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে জরিমানার পরিমাণ হবে ১ লক্ষ টাকা। প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই মহারাষ্ট্রে র‌্যাপিডো সংস্থার পরিষেবা নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আইনসম্মত লাইসেন্স ছাড়াই ওই সংস্থা রাজ্যে সক্রিয় ছিল বলে অভিযোগ। এর পর দিল্লিতে বাইক ট্যাক্সি নিষিদ্ধ করা হল।

ওলা, উবর, র‌্যাপিডোর বাইকগুলির বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, অধিকাংশ ক্ষেত্রে নন-ট্রান্সপোর্ট রেজিস্ট্রেশন নম্বরযুক্ত গাড়ি, অর্থাৎ ব্যক্তিগত গাড়ি যাত্রী পরিবহণের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। যা পরিবহণ দফতরের নিয়মবিরুদ্ধ। এতে ১৯৮৮ সালের মোটর ভেহিকল আইন লঙ্ঘিত হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement