—প্রতীকী ছবি।
অবশেষে কানাডা থেকে ভারতীয় ছাত্রদের বিতাড়নের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হল। অনিশ্চয়তার মধ্যেই এল স্বস্তির খবর। লাভপ্রীত সিংহ নামে এক ছাত্রকে কানাডা থেকে বিতাড়নের নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। এর পরে প্রবাসী ভারতীয়েরা প্রতিবাদে নামেন। ৫ জুন থেকে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করেন প্রবাসীরা। লাভপ্রীত-সহ কয়েকশো ভারতীয় পড়ুয়াকে পঞ্জাবের জালন্ধরের এক দল এজেন্ট কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ভুয়ো চিঠি দিয়েছিল বলে অভিযোগ। অভিযোগ, সেই ভুয়ো চিঠি পেশ করে তাঁরা কানাডার ছাত্র ভিসা পান। কানাডার স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার আবেদন জানাতে গিয়ে তাঁরা ভুয়ো চিঠির বিষয়টি জানতে পারেন। তার পরেই কানাডা সরকার তাঁদের দেশ থেকে সরাতে উদ্যোগী হয়।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, ভারত বিষয়টি নিয়ে কানাডার কর্তৃপক্ষের উপর ধারাবাহিক ভাবে চাপ তৈরি করে গিয়েছে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর নিজে কানাডার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। টরন্টোতে ভারতীয় দুতবাসও নিয়মিত ভাবে ভারতীয় ছাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন। সূত্রের বক্তব্য, ছাত্রেরা যে হেতু এ ক্ষেত্রে দোষী নয়. তাই তাঁদের সমস্যাকে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার জন্য কানাডাকে অনুরোধ করেছে নয়াদিল্লি। এটাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে কানাডার ভিসা ব্যবস্থার মধ্যেও ত্রুটি রয়েছে। ভারতীয় ছাত্রদের ভিসা দেওয়ার পরে সমস্যা তৈরি হওয়ার একটা কারণ সেটাই।
কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি কৃতিত্ব নেওয়ার রাজনৈতিক লড়াইও শুরু হয়ে গিয়েছে এই নিয়ে। আপ সাংসদ বিক্রমজিৎ সিংহ সাহনই জানিয়েছেন, তিনি অনুরোধ করার পরে কানাডা সরকার ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি স্থগিত রেখেছে। আপাতত ৭০০ ভারতীয় ছাত্রকে বিতাড়নের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কানাডা সরকার তা স্থগিত। বিশ্ব পঞ্জাবি সংস্থার সভাপতি বিক্রমজিতের কথায়, “আমরা লিখিত ভাবে কানাডা সরকারকে আমাদের বক্তব্য জানিয়েছিলাম। আমরা জানিয়েছি এই পড়ুয়ারা কোনও প্রতারণা করেননি। তাঁরা নিজেরাই প্রতারণার শিকার। কারণ কিছু অনুমোদনহীন এজেন্সি তাঁদের ভুয়ো ভর্তির চিঠি দিয়েছিল। নথিপত্রের উপযুক্ত পরীক্ষা ছাড়াই ভিসা দেওয়া হয়েছিল। আবার সে দেশে যাওয়ার পরে অভিবাসন দফতর তাঁদের ঢুকতেও দিয়েছিল।”