কাঁওয়ার যাত্রা মামলা সুপ্রিম কোর্টে। — ফাইল চিত্র।
কাঁওয়ার যাত্রা মামলায় অন্তর্বর্তী নির্দেশের মেয়াদ আরও বৃদ্ধি করল সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে এ-ও জানায়, কেউ যদি সদিচ্ছায় দোকানের বাইরে নাম-পরিচয় লিখতে চান, তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু কাউকে জোরপূর্বক সরকারের নির্দেশ মানতে বাধ্য করা যাবে না।
কাঁওয়ার যাত্রাকে কেন্দ্র করে উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড সরকারের নির্দেশিকা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। দুই রাজ্যের সরকারের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কাঁওয়ার যাত্রাপথে রাস্তার দু’ধারে যে সব খাবারের দোকান রয়েছে, সেই সব দোকানের বাইরে টাঙানো সাইনবোর্ডে দোকান মালিকের নাম-পরিচয় স্পষ্ট করে লিখতে হবে। সেই নির্দেশিকাকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সূত্রপাত। নির্দেশিকার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও একটি মামলা করেছিলেন। গত শুনানিতে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড সরকারের নির্দেশিকার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে।
শুক্রবার কাঁওয়ার মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। শুনানিতে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, পরবর্তী শুনানি স্থগিতাদেশর ৫ অগস্ট পর্যন্ত বজায় থাকবে। বিচারপতি হৃষীকেশ রায় এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘‘কেউ যদি স্বেচ্ছায় দোকানের বাইরে নাম প্রকাশ করতে চান, তাতে কোনও সমস্যা নেই। আমাদের নির্দেশে বলা হয়েছে, কাউকে দোকানের বাইরে নাম-পরিচয় লিখতে বাধ্য করা যাবে না।’’
উত্তরপ্রদেশ সরকার শুক্রবার আদালতে তাদের নির্দেশিকা নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে। সরকার পক্ষের আইনজীবী মুকুল রোহতগি আদালতে জানান, আইন মেনেই দোকানদারদের নাম এবং পরিচয় সাইনবোর্ডে লেখার কথা বলা হয়েছিল। এ বিষয়ে আদালত বলে, ‘‘গোটা রাজ্যের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য করা হোক। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট এলাকার জন্য নয়। আপনারা নিশ্চিত করুন সব জায়গায় এই নিয়ম প্রয়োগ করা হয়েছে।’’
মামলাকারী মহুয়ার আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্গভির সওয়াল, গত ৬০ বছরে কাঁওয়ার যাত্রায় এমন কোনও নির্দেশ ছিল না। সে ক্ষেত্রে এ বছরও এই নিয়ম না মেনেই যাত্রার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। শুক্রবার উত্তরপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে একটি হলফনামা পেশ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, কাঁওয়ার তীর্থযাত্রা যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে হয়, সে কারণেই ওই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল।