১৯৯৪ সালে নম্বি নারায়ণের বিরুদ্ধে অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় হয়েছিল। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় মহাকাশ অনুসন্ধান কেন্দ্র (ইসরো)-র প্রাক্তন গবেষক নম্বি নারায়ণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মামলায় সিবিআইয়ের আবেদনে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। নম্বিকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ফাঁসানোয় অভিযুক্ত প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিকদের জামিনের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সোমবার ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট মামলাটি নতুন করে কেরল হাই কোর্টকে দেখার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতের কাছে আবেদনে জানান, যদি কেরল হাই কোর্টে আবার এই মামলা ফেরানো হয় তবে অভিযুক্তদের গ্রেফতারি থেকে রক্ষাকবচ দেওয়া হোক। যার প্রেক্ষিতে বিচারপতি এম আর শাহ জানান, ওই মামলা আবার নতুন করে দেখতে পারে কেরল হাই কোর্ট।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালে চরবৃত্তির অভিযোগে মামলা দায়ের হয় ইসরোর প্রাক্তন গবেষক নম্বির বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে ইসরোর গোপনীয় নথি অন্য দেশের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। নারায়ণ ২ মাস জেলেও ছিলেন। এই মামলার তদন্তে নেমে সিবিআই জানায়, নম্বির বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। সিবিআইয়ের আগে কেরল পুলিশ এই মামলার তদন্ত করেছিল। নম্বির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন কেরলের প্রাক্তন ডিজিপি সিবি ম্যাথুজ। এ ছাড়াও অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন পিএস জয়প্রকাশ, থম্পি এস দুর্গা দত্ত, বিজয়ন এবং আরবি শ্রীকুমার। এঁদের কেউ ছিলেন পদস্থ পুলিশ কর্তা, কেউ ছিলেন গোয়েন্দা বিভাগে।
সিবিআই একে ‘বিদেশী শক্তি জড়িত বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করে। জানায়, এর ফলে গত কয়েক দশক ধরে প্রযুক্তির অগ্রগতি ব্যাহত হয়। যদিও কেরল হাই কোর্ট অভিযুক্তদের অন্তবর্তিকালীন জামিন দেয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, বিদেশি শক্তির সঙ্গে জড়ানোর কোনও প্রমাণ ওই পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মেলেনি। তবে হাই কোর্টের নির্দেশে নিযুক্ত তদন্তকারী কমিটি জানায়, কয়েক জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সত্যিই গোপন তথ্য ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তাঁরা ইচ্ছাকৃত ভাবে সংবাদমাধ্যমের কাছে এই সব তথ্য ফাঁস করেন কোনও অসৎ উদ্দেশ্যে। এর পর অভিযুক্তদের জামিনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই।