দাম্পত্যজীবনে হতাশা নেমেছে লেখকের। যার প্রমাণ মেসেজের ছত্রে ছত্রে। মেসেজগুলি করেছেন উরফি জাভেদকে। দেখা যায়, তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন ‘টু স্টেটস’, ‘হাফ গার্লফ্রেন্ড’-এর জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক। উরফি যদিও পাশ কাটিয়ে গিয়েছেন উত্তরে। তাঁর পাল্টা মেসেজে অসম্মানের লেশমাত্র ছিল না। এ দিকে চেতনই যখন সর্বসমক্ষে ছোট করার চেষ্টা করলেন উরফিকে, অবমাননা মেনে নিতে পারেননি বলিউডের ‘ফ্যাশনিস্তা’। চেতনের আসল চেহারা সামনে আনতে এ বার ইনবক্সের স্ক্রিনশট ভাগ করে নিলেন উরফি।
উরফিকে দিনের পর দিন এই ধরনের অন্তরঙ্গ বার্তায় প্রলোভন দেখাতেন তাঁর মতো লেখক? দেখে তাজ্জব চেতন অনুরাগীরা। এ বার কি মুখ লুকোতে বাধ্য হবেন স্বনামধন্য লেখক? অনেকেই মন্তব্য করেছেন ধিক্কার দিয়ে। কেউ লিখছেন, “সত্যি হোক বা মিথ্যা, আর কোনও সম্মান রইল না।” আবার কেউ লিখলেন, “বলিউড সিনেমার চিত্রনাট্য দেখছি মনে হচ্ছে।”
কেউ আবার হেসেই খুন, বললেন, “তলে তলে এত হতাশা চেতনের?”
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ভারতীয় যুবসমাজ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছিলেন চেতন। সেখানেই লেখক টেনে আনেন উরফিকে। চেতনের ওই অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘এখনকার ভারতীয় যুবসমাজ কেবল মেয়েদের ছবিতে লাইক দিতে জানে। তাই উরফি জাভেদের ছবিতে কোটি কোটি লাইক পড়ে।’’
এখানেই থেমে যাননি চেতন। আরও বলেন, ‘‘এক দিকে সীমান্তে থাকা জওয়ান যাঁরা কার্গিলে বসে দেশকে রক্ষাকে করছেন। অন্য দিকে, আর এক দল কম্বলের তলায় ঢুকে উরফির ছবি দেখছে।’’
লেখকের এ হেন মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন উরফি। ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী যে তিনি নন। সৌখিনী লেখককে এক হাত নিয়ে মিটু আন্দোলনের সময়কার কথা চেতনকে মনে করিয়ে দেন। মিটু আন্দোলনের সময় চেতনের বিরুদ্ধে একাধিক মহিলা হেনস্থার অভিযোগ আনেন। তার পর অবশ্য ক্ষমা চেয়ে নেন চেতন। সেই সব স্ক্রিনশট নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে উরফি শেয়ারও করেন।
উরফি বলেন, ‘‘ওঁর মতো মানুষ সব সময় মেয়েদের দোষই খোঁজেন। এক জন নারীকে তাঁর পোশাক দিয়েই বিচার করেন। তুমি বিকৃতমনস্ক বলে এমন নয় যে, মেয়েটার দোষ রয়েছে।’’
শেষে উরফির সংযোজন, ‘‘উনি খামোকা আমার নাম টানলেন, দুর্ভাগ্যজনক।’’ এতে নিজেরই যে ভাবমূর্তি নষ্ট করলেন লেখক! নিন্দার ঝড় সমাজমাধ্যম জুড়ে।