কবিতার আবেদন শুনলই না সুপ্রিম কোর্ট। ছবি পিটিআই।
সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেলেন না তেলঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও-এর কন্যা তথা ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) নেত্রী কে কবিতা। দিল্লির আবগারি মামলায় ইডির গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন তিনি। কবিতার দাবি ছিল, ইডি বেআইনি ভাবে তাঁকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু শুক্রবার শীর্ষ আদালত কবিতার আবেদন শুনলই না। চন্দ্রশেখরের কন্যাকে ট্রায়াল আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বাধীন বিশেষ বেঞ্চ।
শুক্রবার বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ কবিতার আবেদন গ্রহণ করতে চায়নি। বেঞ্চ জানিয়েছে, কবিতাকে অবশ্যই নীতি অনুসরণ করতে হবে। তাঁর জন্য কোনও নিয়ম ভাঙা যাবে না। শীর্ষ আদালতে এ ভাবে সরাসরি জামিনের আবেদন করা যায় না।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত ১৫ মার্চ দুপুরে কবিতার হায়দরাবাদের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। চলে তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদ। তার পর বিকেলে বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। ইডি সূত্রের খবর, বিকেল ৫টা ২০ মিনিট নাগাদ কবিতাকে গ্রেফতার করা হয়। আগামী ২৩ মার্চ পর্যন্ত কবিতাকে ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।
গত ডিসেম্বরে মণীশ সিসৌদিয়ার ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত অমিত আরোরা নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। সূত্রের খবর, তখনই তারা জানতে পারে, এই মামলায় যুক্ত রয়েছেন কবিতা। কবিতাকে দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত বছর জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। তবে সম্প্রতি তিনি ইডির তলব এড়িয়ে যান। এই মামলার চার্জশিটে ইডির অভিযোগ, দিল্লির তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা মদ সংক্রান্ত নীতির ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী সিসৌদিয়া আবগারি নীতির পরিবর্তন ঘটিয়ে দক্ষিণ ভারতের যে ব্যবসায়িক সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন, কবিতা তার ৬৫ শতাংশের মালিক!
এই মামলায় ইডি দাবি করেছে, দিল্লির আবগারি নীতিতে বিশেষ সুবিধা পেতে আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়ার সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন কবিতা। সুবিধা পাওয়ার বিনিময়ে তিনি আপ নেতাদের ১০০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছে ইডি।
বৃহস্পতিবার রাতে আবগারি মামলায় ইডি গ্রেফতার করে কেজরীওয়ালকে। শুক্রবারই তাঁকে আদালতে তুলবে ইডি। অন্য দিকে, ইডির গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবারই বিচারপতি খান্নার বেঞ্চে কেজরীওয়ালের আবেদনের শুনানি হবে।