ঘৃণাভাষণ বন্ধ হওয়া দরকার, বলছে সুপ্রিম কোর্টও। ফাইল ছবি।
ঘৃণাভাষণ বন্ধ হওয়া দরকার। সোমবার এক পর্যবেক্ষণে এমনই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি, অন্য একটি মামলায় গত বছর দিল্লি এবং হরিদ্বারে যে ধর্ম সংসদ বসেছিল তাতে বক্তাদের ঘৃণাভাষণের পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি আর উত্তরাখণ্ড সরকারের পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চেয়ে লিখিত জবাব তলব করেছে শীর্ষ আদালত।
সোমবারই দিল্লি পুলিশ জানায়, সম্প্রতি দিল্লিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) সমাবেশে যে বক্তাদের বিরুদ্ধে ঘৃণাভাষণের অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর রুজু করা হয়েছে। একই দিনে সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণ এবং নির্দেশের তাৎপর্য ব্যাপক।
প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত এবং বিচারপতি এসআর ভাটের বেঞ্চ মামলাকারী এইচ মনসুখানিকে ঘৃণাভাষণের নির্দিষ্ট ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করার নির্দেশ দেয়। সেই ঘটনাগুলির ক্ষেত্রে তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্টও চেয়েছে আদালত। বেঞ্চ বলে, ‘‘আবেদনে বলা হয়েছে, প্রকাশ্যে ঘৃণাভাষণের জেরে সামাজিক পরিমণ্ডল বিষিয়ে উঠছে এবং আপনি (আবেদনকারী) যথার্থ ভাবেই ঘৃণাভাষণ বন্ধ করার দাবি জানাতে পারেন।’’
মামলাটির ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে অতিরিক্ত সময় ধার্য করেছে আদালত। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে আবেদনকারীকে নির্দিষ্ট ঘটনার তথ্য সম্বলিত রিপোর্ট হলফনামা আকারে আদালতে জমা দিতে হবে। ১ নভেম্বর মামলার শুনানি।
অপর মামলায়, বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ সমাজকর্মী তুষার গান্ধীর দায়ের করা মামলায় দিল্লি ও উত্তরাখণ্ড সরকারের জবাব তলব করেছে। মামলাকারী তুষার ঘৃণাভাষণ চলাকালীন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে তাঁদের বিরুদ্ধে অবমাননার মামলা শুরুর আর্জি জানিয়েছেন। সেই মামলায় আদালত জানায়, এই মুহূর্তে তারা অবমাননার মামলার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কোনও পদক্ষেপ করছেন না। এখন কেবল দিল্লি এবং উত্তরাখণ্ড সরকারকে জবাব দিতে হবে যে, ধর্ম সংসদে ঘৃণাভাষণের প্রেক্ষিতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। দুই রাজ্যের সরকারই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শীর্ষ আদালতে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করবে বলে জানা গিয়েছে।
গত বছর ১৯ ডিসেম্বর দিল্লিতে এবং ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর হরিদ্বারে ধর্ম সংসদের আসর বসেছিল। সেখানেই একাধিক বক্তা ঘৃণাভাষণ দিয়েছেন বলে অভিযোগ। ঘৃণাভাষণের পর পুলিশের তা নিয়ে নীরবতাকে প্রশ্ন করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছে মামলাও।