ফাইল চিত্র।
সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা নিট-এর স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তি নিয়ে মামলায় নির্দেশদান স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এ এস বোপান্না সব পক্ষকেই কাল সকালের মধ্যে তাঁদের লিখিত বক্তব্য পেশ করতে বলেছেন। সেই সঙ্গে বিচারপতিরা এ-ও বলেছেন, ‘‘আমরা দু’দিন ধরে মামলাটি শুনছি। জাতীয় স্বার্থে নিট-পিজি কাউন্সেলিং শুরু হওয়া দরকার।’’ আগামী কাল সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে তার নির্দেশ জানাতে পারে বলে খবর।
নিট-স্নাতকোত্তর পড়ুয়াদের একাংশ ২০২১-এর ২৯ জুলাই কেন্দ্র যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল, তাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন আদালতে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকেই সর্বভারতীয় স্তরে মেডিক্যাল পড়ুয়াদের মধ্যে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য ২৭ শতাংশ এবং অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ কোটা চালু করা হবে। অর্থনৈতিক দুর্বলতার মাপকাঠি হিসেবে বাৎসরিক আয়ের ঊর্ধ্বসীমা ৮ লক্ষ টাকায় বেঁধেছে সরকার। এই অঙ্ক নিয়েই চলছে তরজা। কিসের ভিত্তিতে এই অঙ্কটি স্থির হল, চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন পড়ুয়াদের একাংশ। তাঁদের প্রতিনিধিত্ব করছেন আইনজীবী অরবিন্দ দাতার এবং শ্যাম দিওয়ান। তামিলনাড়ু সরকার সর্বভারতীয় প্রবেশিকারই বিরোধী। আদালতে তাদের বক্তব্য পেশ করেন আইনজীবী পি উইলসন। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে বলেন, ‘‘একটা বিভ্রান্তি দূর হওয়া দরকার। মাঝপথে কোনও নিয়ম পরিবর্তন হয়নি। ২০১৯-এই এই পদ্ধতি রূপায়িত হয়েছে, শুধু মাত্র সর্বভারতীয় কোটার ক্ষেত্রে রূপায়ণই বাকি ছিল।’’