বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা। ছবি সংগৃহীত।
বর্তমানে নিলম্বিত বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তীব্র ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট। তার পরই বিচারপতিদের সিদ্ধান্তকে নিয়ে তাঁদের ব্যক্তিগত আক্রমণ শুরু হয়। নূপুরকে ভর্ৎসনা করেছিল সুপ্রিম কোর্টের যে বেঞ্চ, তার অন্যতম সদস্য বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এ বার এ ব্যাপারে মুখ খুললেন। একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘রায়ের কারণে বিচারপতিদের উপর ব্যক্তিগত আক্রমণের ঘটনা ভয়ঙ্কর পরিণামের ইঙ্গিতবাহী।’’
নূপুরের আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি সূর্যকান্ত বেশ কিছু কঠোর বাক্য ব্যবহার করেছিলেন। তার পরই নেটমাধ্যমে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ শুরু হয়।
নূপুর সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে যত অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তা যেন একসঙ্গে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করা হয়। নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তাহীনতারও দাবি করেছিলেন নিলম্বিত বিজেপি নেত্রী। সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদনের শুনানিতে পাল্টা প্রশ্ন তোলে, এখনও নূপুরকে গ্রেফতার করা হয়নি কেন? পাশাপাশি এই কারণে দেশে হওয়া অশান্তির জন্যও নূপুরকেই দায়ী করে শীর্ষ আদালত।
রবিবার একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে এই প্রসঙ্গে বিচারপতি বলেন, ‘‘রায়ের কারণে বিচারপতিদের উপর ব্যক্তিগত আক্রমণের ঘটনা ভয়ঙ্কর পরিণামের ইঙ্গিতবাহী। যেখানে আইন এ বিষয়ে কী ভাবছে তা না ভেবে সংবাদমাধ্যম কী ভাবছে, তা নিয়ে বিচারপতিদের ভাবতে হবে। যা আইনের শাসনের পরিপন্থী। সামাজিক ও ডিজিটাল মাধ্যম বিচারপতিদের রায়ের গঠনমূলক সমালোচনার বদলে ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দ নিয়ে আলোচনার জায়গা হয়ে উঠেছে।’’ তিনি জানান, আইনের শাসন বজায় রাখার জন্য সারা দেশে ডিজিটাল ও সামাজিক মাধ্যমকে বাধ্যতামূলক ভাবে নিয়ন্ত্রিত করার প্রয়োজন হয়ে উঠেছে।