একই হ্যাশট্য়াগ দিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ তৃণমূল - টিআরএসের। ফাইল চিত্র
রাজনৈতিক জোট ভারতের রাজনীতিতে কোনও নতুন বিষয় নয়। কিন্তু ইন্টারনেটের যুগে যে আরও এক ধরনের রাজনৈতিক জোট সম্ভব, তা দেখিয়ে দিল তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি ও তৃণমূল। রবিবার হায়দরাবাদে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল ও তেলঙ্গানার শাসকশিবিরকে একযোগে আক্রমণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের পাশাপাশি, অভিযোগ এনেছেন পরিবারতন্ত্র কায়েমের। মোদীর আক্রমণের জবাবে বিবৃতি দিয়ে আক্রমণের পাশাপাশি, একই হ্যাশট্যাগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ শানাল কেসিআর ও মমতার দল।
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক আক্রমণের জবাব দিতে ব্যবহার করা হল হ্যাশট্যাগ-‘জুমলা কিং মোদী’। এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেই টিআরএস ও তৃণমূলের কর্মীরা নেটমাধ্যমে জোরালো আক্রমণ শানালেন। ভারতীয় রাজনীতির আঙ্গিকে এই ধরনের জোট অভিনব ঘটনা বলেই মনে করছেন জাতীয় রাজনীতির কারবারিরা। জাতীয় রাজনীতিতে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উভয়ই কট্টর মোদীবিরোধী বলে পরিচিত। তাই হ্যাশট্যাগ তৈরির ক্ষেত্রেও তাঁদের উভয়ের ভাবমূর্তি ও রাজনৈতিক অবস্থানের কথা মাথায় রাখা হয়েছে।
তবে ভারতীয় রাজনীতিতে এমন জোটের কারিগর হিসেবে পেশাদার সংস্থার আইপ্যাকের মস্তিষ্কই দেখছেন জাতীয় রাজনীতির কারবারিরা। কারণ, বাংলায় তৃণমূল ও তেলঙ্গানায় টিআরএসের পরামর্শদাতার দায়িত্বে রয়েছে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা। তাই তাদের তরফ থেকেই এমন অভিনব আক্রমণের কৌশল নেওয়া হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, পেশাদারি কায়দায় মোদী হায়দরাবাদে বক্তৃতা শেষ করার পরে পরেই এই হ্যাশট্যাগটিকে যেভাবে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে রাজনীতির ময়দানে জোটচিত্রই উঠে এসেছে।