বিলকিস মামলা থেকে অব্যাহতি নিলেন বিচারপতি। — ফাইল ছবি।
স্বাধীনতা দিবসের দিন সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাঁর ধর্ষক এবং পরিবারের খুনিদের জেল থেকে মুক্তি দিয়েছিল গুজরাত সরকার। তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন বিলকিস বানো। সেই মামলার প্রথম শুনানির দিনই মামলা থেকে অব্যাহতি নিলেন বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী। এর ফলে মামলাটি আপাতত স্থগিত হয়ে গেল।
মঙ্গলবার সকালে শুনানিতে বসেছিলেন বিচারপতি অজয় রাস্তোগি এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী। শুনানির শুরুতেই বিচারপতি রাস্তোগি জানান, বিচারপতি ত্রিবেদী মামলাটি শুনতে চান না। তার পর তিনি নির্দেশ দেন, মামলাটি এমন কোনও বেঞ্চের তালিকাভুক্ত করা হোক যেখানে তাঁদের দু’জনের মধ্যে কেউ থাকবেন না। ফলে মামলাটি স্থগিত হয়ে গেল।
তবে বিচারপতি ত্রিবেদী কেন এই মামলা থেকে অব্যাহতি নিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বিলকিস বানো দু’টি পৃথক মামলায় সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গুজরাত সরকার গত ১৫ অগস্ট দোষীদের মুক্তি দেয়। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বর্ণিত সাজার মেয়াদ অতিক্রান্ত না হওয়া সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পালন না হওয়ারই শামিল বলে মন্তব্য করেন বিলকিস। ২০০২-য়ে গোধরা কাণ্ডের পর ২১ বছরের সন্তানসম্ভবা বিলকিসকে গণধর্ষণ করা হয়। তাঁর ৩ বছরের মেয়েকেও পরিবারের অন্যদের সঙ্গে খুন করা হয়।
বিলকিস বানোর ধর্ষকদের ‘সাজার মেয়াদ শেষের আগে’ মুক্তি দেওয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের করা আবেদনের দ্রুততার ভিত্তিতে শুনানির আর্জি খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত সোমবার প্রধান বিচারপতির ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ বিলকিসের আইনজীবী শোভা গুপ্তের আবেদন খতিয়ে দেখে এই সিদ্ধান্ত নেয়। এই আবহেই মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অজয় রস্তোগী এবং বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর বেঞ্চে ১১ ধর্ষক ও খুনির মুক্তির প্রতিবাদে ধর্ষিতা বিলকিসের আবেদনের শুনানি হয়। কিন্তু তার পরেই মামলা থেকে অব্যাহতি নেন বিচারপতি ত্রিবেদী।