প্রতীকী ছবি।
গ্রাহকদের গোপনীয়তা রক্ষার প্রশ্নে ফেসবুক, হোয়াট্সঅ্যাপকে সোমবার নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, গ্রাহকদের গোপনীয়তার প্রশ্নে আশঙ্কা তৈরি হলে তাতে হস্তক্ষেপ করতে হবে। এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকেও নোটিস দিল শীর্ষ আদালত। একটি মামলার শুনানির সময় গ্রাহকদের গোপনীতায় রক্ষা যে আদালতেরও দায়িত্ব, তা-ও মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শরদ বোবডে। ফেসবুক এবং হোয়াট্সঅ্যাপের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, ‘‘সকলের কাছেই তাঁর গোপনীতায় অধিকার গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা ২-৩ ট্রিলিয়ন ডলারের (লক্ষ কোটির) সংস্থা হতে পারেন। তবে মানুষের গোপনীয়তা রক্ষার দায়িত্ব আমাদের। এবং আমাদেরই তা রক্ষা করতে হবে।’’
গত জানুয়ারিতে পরিষেবা সংক্রান্ত সুরক্ষা বিধিতে বদলের ঘোষণা করে হোয়াট্সঅ্যাপ। সে সময় তারা জানিয়েছিল, ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তা কার্যকর করা হবে। তবে দেশজোড়া গ্রাহকদের আশঙ্কায় তা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হন হোয়াট্সঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। নিজেদের কথাবার্তা ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয় বহু গ্রাহকের। হোয়াট্সঅ্যাপের নয়া সুরক্ষাবিধি নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন কর্মণ্য সিংহ সরিন এবং অন্য অনেকে। আদালতে তাঁদের আইনজীবী শ্যাম দিয়ানের দাবি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলির থেকে এ দেশে তাদের সুরক্ষাবিধি সংক্রান্ত নীতিতে পার্থক্য করছে হোয়াট্সঅ্যাপ। তবে হোয়াট্সঅ্যাপের তরফে তাদের এক আইনজীবী কপিল সিব্বলের পাল্টা দাবি, ‘‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিতে হোয়াট্সঅ্যাপের বিশেষ তথ্যসুরক্ষা নীতি আলাদা। ওখানে নয়া আইন হলে আমরাও তা অনুসরণ করব।’’
তবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বোবডের মন্তব্য, ‘‘(হোয়াট্সঅ্যাপে) নিজেদের তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে মানুষজনের আশঙ্কা রয়েছে। মানুষজনের মনে হচ্ছে, কাউকে মেসেজ করলে তার গোটাটাই ফেসবুকে ফাঁস হয়ে যাবে।’’ যদিও এ নিয়ে ওই দুই সংস্থার তরফেই কী প্রতিক্রিয়া জানানো হয়, সে দিকে নজর থাকবে বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ৪ সপ্তাহ পরে এই মামলায় ফের শুনানি হবে।