সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
একটি রাস্তা তৈরির জন্য দিল্লিতে ৪২২টি গাছ কেটে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। যা মোটেই ভাল চোখে দেখছে না সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে দিল্লির আম আদমি পার্টি সরকারকে ভর্ৎসনা করেছে শীর্ষ আদালত। পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে এই সরকারের সংবেদনশীলতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে আদালত।
রাস্তা সম্প্রসারণের স্বার্থে দিল্লির সাদার্ন রিজের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে হাজারের বেশি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (ডিডিএ) বিরুদ্ধে। ওই সংগঠনের সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইঞার বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল সম্প্রতি। আদালত জানিয়েছে, হাজারের মধ্যে ৪২২টি গাছ কাটার অনুমতি দেওয়ার দায় নিতে হবে দিল্লি সরকারকেই।
সরকারের অধীনে থাকা বন আধিকারিক আদালতে জানিয়েছেন, ওই ৪২২টি গাছ কাটার অনুমতি তিনি দেননি। তবে আদালতের মন্তব্য, ‘‘গাছ কাটার অনুমতি দেওয়ার দায় নিতেই হবে দিল্লি সরকারকে। যদিও এই ধরনের কোনও অনুমতি দেওয়ার বিধিবদ্ধ ক্ষমতা সরকারের নেই। রিজ অঞ্চলের বাইরের গাছও দিল্লি সরকারের মদতেই কাটা হয়েছে। যা ১৯৯৪ সালের দিল্লি বৃক্ষ সংরক্ষণ আইনের বিরোধী।’’
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, দিল্লি সরকারের এই ‘বেআইনি’ কাজে পরিবেশের ক্ষতি হয়েছে। কী ভাবে এর ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, সরকারকে তা আদালতে জানাতে হবে। তার জন্য সরকারের প্রতিনিধিকে আদালতে হাজির হতেও বলেছেন বিচারপতি।
গাছ কাটার মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যে একটি হলফনামা জমা দিয়েছে দিল্লি সরকার। হলফনামা অনুযায়ী, সরকারের বিজ্ঞপ্তির ভুল অর্থ করেছে ডিডিএ। আদালত জানিয়েছে, ওই হলফনামা অনুযায়ী, এই ধরনের কাজ এই প্রথম নয়, আগেও একাধিক বার ঘটেছে দিল্লিতে। সরকার তার দায় এড়াতে পারে না।