অ্যাটর্নি জেনারেলকে মুখবন্ধ খাম খুলে পড়তে বললেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। প্রতীকী ছবি।
এর আগে আদানি-হিন্ডেনবার্গ কাণ্ডের তদন্তে বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যের নাম মুখবন্ধ খামে সুপ্রিম কোর্টকে দিতে চেয়েছিল কেন্দ্র। প্রধান বিচারপতি তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। পেনশনভোগী সেনাদের বকেয়া কেন মেটানো হচ্ছে না, তার জবাবও সোমবার মুখবন্ধ খামে দিতে চেয়েছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরামানি। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এ দিনও তা প্রত্যাখ্যান করে মন্তব্য করলেন, “এই মুখবন্ধ খামে জবাব দেওয়াটা শুধু যে অগ্রহণযোগ্য তাই নয়, বিচারপদ্ধতির মূল নীতির পরিপন্থী।”
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বিষয়টি সংবেদনশীল বলেই মুখবন্ধ খাম বিচারপতিদের হাতে দিতে চান তিনি। প্রধান বিচারপতি বলেন, “কী এমন সংবেদনশীল যে মামলাকারীকে সেটা জানানো চলবে না? কারও প্রাণসংশয়ের বিষয় হলে বলার কিছু থাকে না।” অ্যাটর্নি জেনারেলকে তিনি নির্দেশ দেন, সরকারের জবাব অন্য পক্ষকেও জানিয়ে দিন। বেঙ্কটরামানি চিঠিটি বার করে পড়েন। তাতে লেখা ছিল, আদালতের রায় মেনে ২৫ লক্ষ পেনশনারের বকেয়া মেটাতে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন। বাজেটে এত টাকা বরাদ্দ হয়নি। এর পরে কোর্ট ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তিন কিস্তিতে ‘এক পদ এক পেনশন’ প্রকল্পে ১০ থেকে ১১ লক্ষ অবসরপ্রাপ্ত সেনার বকেয়া পেনশন মেটাতে বলে। এ বছরের ৩০ জুনের মধ্যে সত্তরোর্ধ্ব পেনশনভোগীদের এবং ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ৬ লক্ষ পারিবারিক পেনশনভোগী ও প্রতিরক্ষা পুরস্কার বিজয়ীদের বকেয়া দিতে বলা হয়েছে।