—ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের গণনা ১০ মার্চ। তার আগে ভোট গণনার নিয়মে কোনও বদল আনতে রাজি নয় সুপ্রিম কোর্ট। এ নিয়ে জরুরি শুনানির আর্জিও আজ খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণার বেঞ্চ। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, যে পদ্ধতিতে এতদিন ভোট গণনা হয়ে এসেছে, এ বারও সে ভাবেই হবে।
শীর্ষ আদালতে এক আবেদনকারী আর্জি জানিয়েছিলেন, ভোটগণনা শুরুর আগেই ভিভিপ্যাট যাচাই করা হোক। পাশাপাশি, ভিভিপ্যাট যাচাইয়ের এই বিষয়টি প্রতি বিধানসভা কেন্দ্রের ৫টি বুথ থেকে বাড়িয়ে ২৫টিতে করার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। উত্তরপ্রদেশ ও অন্য কয়েকটি রাজ্যে ভোটগণনা যে হেতু ১০ মার্চ, সেই জন্য আগামী কালই জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন জানানো হয়। সমাজকর্মী রাকেশ কুমারের এই জনস্বার্থ মামলাটি নিয়ে আজ বিকেলে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, ‘‘আমরা ভোট গণনার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করছি না।’’
আজ সকালেই সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ অবশ্য এই মামলাটি আগামিকালই শুনতে রাজি হয়েছিল। আইনজীবী মীনাক্ষী অরোরা বিষয়টি শীর্ষ আদালতের সামনে তুলে ধরেছিলেন। তবে পরে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে আইনজীবী মনিন্দর সিংহ শীর্ষ আদালতে জানান, জনস্বার্থ মামলার আবেদন খারিজ করা প্রয়োজন। কারণ, ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনেই কমিশন তার আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। আবেদনকারীর আইনজীবী যুক্তি দেন, ভিভিপ্যাট যাচাইয়ের বিষয়টি গণনার শুরুর দিকে, প্রথম কিংবা দ্বিতীয় রাউন্ডেই হওয়া উচিত। কারণ, নির্বাচনী এজেন্টরা গণনার শেষ পর্যন্ত হয়তো না-ও থাকতে পারেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘পরশু পাঁচ রাজ্যের ভোট গণনা। ফলে শেষ মুহূর্তে আমরা কী-ই বা করতে পারি?’’
নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী যুক্তি দেন, শীর্ষ আদালতের রায় মেনেই যখন আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, তখন গণনার নিয়মে পরিবর্তনের আর্জিকে শোনা ঠিক হবে না। প্রধান বিচারপতি এর পর জানিয়ে দেন, তাঁরা বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করছেন না। ভোট গণনা চালু নিয়ম মেনেই এগোবে। তবে জনস্বার্থ মামলার বিষয়টি পরে দেখা হবে।