এক্ষেত্রে ২০২২ সালের রায় মানতে সরকার বাধ্য বলেও সোমবার মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।
এক পদ এক পেনশন নীতির অধীনে সেনার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের বকেয়া মেটাতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সময়সীমা বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৩টি কিস্তিতে বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এ ক্ষেত্রে ২০২২ সালের রায় সরকার মানতে বাধ্য বলেও সোমবার মন্তব্য করে আদালত।
যে সব পেনশনপ্রাপকের বয়স ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে, তাঁদের বকেয়া চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে মেটাতে হবে। প্রয়াত সেনা কর্মীদের পরিবার এবং বীরের সম্মান প্রাপকদের বকেয়া মেটাতে হবে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিলের মধ্যে।
এক পদ এক পেনশন নীতির আওতায় বকেয়া মেটানোর আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন সেনাকর্মীরা। সেই মামলায় সোমবার এই নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে, কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, বকেয়া মেটাতে খরচ হবে ২৮ হাজার কোটি টাকা। এক যোগে এই টাকা মেটাতে গেলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় গুরুতর প্রভাব পড়তে পারে।
সোমবার কেন্দ্রের দেওয়া মুখবন্ধ খাম গ্রহণ করতে অস্বীকার করে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন যে, তিনি ব্যক্তিগত ভাবে এই মুখবন্ধ খামের বিরুদ্ধে। এটি মৌলিক বিচারব্যবস্থার পরিপন্থী। পরে একটি মুখবন্ধ খাম জমা দেয় কেন্দ্র। তাতে বকেয়ার খরচ মেটানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায় যে, আদালতে স্বচ্ছতা থাকা দরকার। আদালতের কাছে গোপনীয়তার কী আছে। মুখবন্ধ খামের এই রীতি এ বার বন্ধ করা হোক বলেও মন্তব্য করে আদালত।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয় যে, ২৫ লক্ষ পেনশনপ্রাপকদের মধ্যে ৪ লক্ষ প্রাপক এক পদ এক পেনশনের আওতায় পড়েন না, কারণ তাঁরা বেশি পেনশন পান। ফলে এক পদ এক পেনশনের প্রাপকদের সংখ্যা ২১ লক্ষ। এই ২১ লক্ষ প্রাপকের মধ্যে সেনাকর্মী এবং বীর সম্মান প্রাপকদের ৬ লক্ষ পরিবার পেনশন পাবেন ৩০ এপ্রিলের মধ্যে।