Khalistan

মাদক মাফিয়ার মার্সিডিজে চেপে পুলিশের চোখে ধুলো! বাইক নিয়ে পালানো অমৃতপালকে খুঁজছে পুলিশ

নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন অমৃতপাল। তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা মাদকমুক্তি কেন্দ্রগুলিতে এই বাহিনীকে নিযুক্ত করা হয়। কেন্দ্রগুলিতে কোনও চিকিৎসা হত না বলেও জানা গিয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চন্ডীগড় শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৩ ১৬:৪৪
Share:

অমৃতপালের খোঁজে পঞ্জাব পুলিশ। ফাইল চিত্র।

পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন পঞ্জাবের খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংহ। পঞ্জাব পুলিশ সূত্রে খবর, একটি মার্সিডিজে চেপেই সারা রাজ্যে ঘুরে বেড়াতে পারতেন তিনি। তবে তদন্তে উঠে এসেছে, এই গাড়ি অমৃতপাল পেয়েছিলেন মাদক মাফিয়া রাভেল সি়ংহর কাছ থেকে। এই গাড়ির ছাদে থাকা কাঁচ খুলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যেত অমৃতপালকে। পুলিশকে বোকা বানিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময়ও এই মার্সিডিজে ছিলেন অমৃতপাল। তবে তাঁকে শেষ বার একটি বাইকে চেপে পালাতে দেখা গিয়েছে। পুলিশের নজর এড়়াতেই তিনি এই পন্থা নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

তদন্তকারীরা এ-ও জানতে পেরেছেন, নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন অমৃতপাল। তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা মাদকমুক্তি কেন্দ্রগুলিতে ঝামেলা এড়াতে এই বাহিনীকে নিযুক্ত করা হয়েছিল। ওই মাদকমুক্তি কেন্দ্রগুলিতে প্রায় কোনও চিকিৎসা হত না বলেও জানা গিয়েছে। তদন্তে আগেই উঠে এসেছিল যে মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদক চোরাচালানকারীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল অমৃতপালের। মাদক চোরাচালানের বিষয়ে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল তাঁর।

Advertisement

তদন্তে উঠে এসেছে, অমৃতপালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী দলজিৎ সিংহ ওরফে দলজিৎ খলসির বিদেশ থেকে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা তুলেছিলেন। এমনকি তাঁদের খলিস্তানপন্থী আন্দোলনকে সমর্থন করার জন্য কানাডায় পাকিস্তানের উপদূতাবাসে চিঠিও দিয়েছিলেন দলজিৎ। কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে খলিস্তানপন্থী একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে, এই অভিযোগে বার বার সরব হয়েছে ভারত। সেই ভ্যাঙ্কুভারে অবস্থিত উপদূতাবাসেই পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন দলজিৎ। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, অমৃতপাল এবং পাকিস্তানের মধ্যে প্রধান যোগসূত্র ছিলেন এই দলজিৎই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement