প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে পশুর চর্বি মেশানোর অভিযোগের তদন্ত তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকবে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইয়ের ডিরেক্টর। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত যে ‘স্বাধীন’ বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছে তাতে সিবিআইয়ের পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ এবং ভারতের ‘খাদ্য নিরাপত্তা এবং মান বিষয়ক কর্তৃপক্ষ’ (এফএসএসএআই)-এর আধিকারিকেরাও রয়েছেন।
এর আগে তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে পশুর চর্বি মেশানোর অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছিল অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের শুক্রবারের নির্দেশের ফলে অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর পদক্ষেপ গুরুত্বহীন হয়ে পড়ল। প্রসঙ্গত, সোমবার এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট চন্দ্রবাবু এবং অন্ধ্র সরকারকে কার্যত ভর্ৎসনা করে বলেছিল, ‘‘ঈশ্বরকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখুন।’’
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু সম্প্রতি অভিযোগ করেছিলেন, জগন্মোহন রেড্ডির সরকারের আমলে তিরুমালার প্রসাদী লাড্ডু বানানোর সময় ব্যবহৃত ঘিয়ের সঙ্গে পশুর চর্বি মেশানো হত! গুজরাতের এক সরকারি ল্যাবরেটরির জুলাইয়ের একটি রিপোর্ট উদ্ধৃত করে চন্দ্রবাবু দাবি করেন, তিরুপতি বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে ‘বিশুদ্ধ’ ঘিয়ের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে পশুর চর্বি। সেই থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। ওয়াইএসআর কংগ্রেস অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং চন্দ্রবাবুর মন্তব্যকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মন্তব্য করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এ ব্যাপারে চিঠিও লেখেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি। তাঁর অভিযোগ, তিরুপতি মন্দিরের মর্যাদা ও পবিত্রতা নষ্টের চেষ্টা করেছেন চন্দ্রবাবু। শেষমেশ লাড্ডু বিতর্কের জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। গত শুক্রবারই এক আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে এই মর্মে মামলা দায়ের করেন যে, প্রসাদী লাড্ডুতে পশুর চর্বি মিশিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষদের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। সোমবার সেই মামলাতেই শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে।