সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারা যোগ করে কারও বিরুদ্ধে পিএমএলএ আইন প্রয়োগ করা যায় না, যদি না ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মূল অভিযোগটি পিএমএলএ আইনের আওতায় বিধিবদ্ধ অপরাধের তালিকায় পড়ে। বুধবার অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন বা পিএমএলএ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এ কথা বলেছেন বিচারপতি সঞ্জীব খন্না।
সু্প্রিম কোর্টে বিচারপতি খন্না, বিচারপতি এস কে কল এবং বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর বেঞ্চে পিএমএলএ সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছে। এ দিনের শুনানিতে আবেদনকারীদের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি এবং কপিল সিব্বল বলেন, ইডি এখন আয়কর ফাঁকির মামলাতেও পিএমএলএ যুক্ত করছে। কিন্তু আয়কর ফাঁকি সংক্রান্ত অভিযোগ পিএমএলএ-তে বিধিবদ্ধ অপরাধ নয়। সে ক্ষেত্রে ১২০খ ধারা অর্থাৎ অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারা যোগ করে তাতে পিএমএলএ আইনের ধারা জোড়া হচ্ছে। বিচারপতি খন্না এই বিষয়েই তাঁর অসম্মতি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘‘যদি ইডি বলে যে ১২০খ ধারা যোগ করার ফলে মামলাটি পিএমএলএ-র আওতাভুক্ত হল, তা হলে আমার আপত্তি আছে। আলাদা করে ১২০খ ধারা যোগ করে কোনও মামলাকে অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইনের মামলায় পরিণত করা যাবে না।’’ অন্য দিকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ‘‘পিএমএলএ কোনও বিচ্ছিন্ন আইন নয়, এটি এফএটিএফ (ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স)-এর সুপারিশ মেনে তৈরি।’’ আগামী কালও শুনানি চলবে।