Supreme Court

অবসর নেওয়ার পাঁচ মাস পর ফৌজিদারি মামলার রায় প্রকাশ করেন বিচারপতি, ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট

মাদ্রাজ হাই কোর্টের বিচারপতি টি মাথিভানান ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল একটি ফৌজিদারি মামলায় কার্যকরী নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই বছরেরই ২৬ মে অবসর নেন তিনি। তার পর ২৩ অক্টোবর বিচারপতি মাথিভানান বিশদে রায় প্রকাশ করেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:৪৬
Share:

অবসর নেওয়ার পাঁচ মাস পর ফৌজিদারি মামলার রায় প্রকাশ করায় বিচারপতির উপর ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট। — ফাইল চিত্র।

অবসর নেওয়ার আগে একটি ফৌজিদারি মামলায় এক লাইনে নির্দেশ দিয়েছিলেন মাদ্রাজ হাই কোর্টের এক বিচারপতি। সময় মতো অবসরও নেন তিনি। মাঝে কেটে যায় পাঁচ মাস। তার পর সেই পুরনো মামলায় পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন সেই বিচারপতি। এমন ‘বেনজির’ কাজের জন্য সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন তিনি। কেন এত দিন মামলার রায় আটকে রেখেছিলেন তার জবাবও চাওয়া হয়েছে তাঁর কাছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, অবসর নেওয়ার পর পাঁচ মাস ধরে কোনও মামলার ফাইল আটকে রাখা ‘চরম অনৈতিক’ কাজ।

Advertisement

মাদ্রাজ হাই কোর্টের বিচারপতি টি মাথিভানান ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল একটি ফৌজিদারি মামলায় কার্যকরী নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার পর সেই বছরেরই ২৬ মে অবসর নেন তিনি। তখনও সেই মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়নি। ২৩ অক্টোবর বিচারপতি মাথিভানান বিশদে রায় প্রকাশ করেন। বিচারপতির এই কাজে ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট।

শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঁইয়ার বেঞ্চে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। যা শুনে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতিরা। ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘‘কার্যকরী নির্দেশ দেওয়ার পরে বিচারপতির হাতে পাঁচ সপ্তাহ সময় ছিল। কিন্তু তিনি সেই সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেননি। এর থেকে বোঝা যায় তিনি অবসর নেওয়ার পর ২৫০ পাতার রায় তৈরি করছিলেন। অভিজ্ঞ এক জন বিচারপতির এ হেন কাজ চরম অনৈতিক।’’

Advertisement

বিচারপতিরা বলেন, ‘‘শুধু বিচার করলেই হবে না, সেই বিচার কার্যকর হচ্ছে কি না তা-ও দেখা বিচারপতির কাজ। আমরা কখনই এমন কাজকে সমর্থন করব না।’’ কেন তিনি এমন করলেন তা সংশ্লিষ্ট বিচারপতির থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা আরও বলেছেন, ‘‘আমরা কখনওই একতরফা কথা শুনে কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারি না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement