মামলা থেকে রেহাই পেলেন রাহুল। ছবি: পিটিআই
বৃহস্পতিবার, রাফাল মামলায় তদন্তের দাবিতে বিরোধীদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই অস্বস্তির দিনেই, আদালত অবমাননার মামলায় স্বস্তি পেলেন রাহুল গাঁধী। তবে, সুপ্রিম কোর্টকে জড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করার জন্য রাহুলকে সতর্কও করেছেন বিচারপতিরা।
রাহুলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছিলেন বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষি লেখি। এ দিন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ রাহুল গাঁধীকে মামলা থেকে রেহাই দেওয়ার নির্দেশ দেন। তবে ভবিষ্যতে এমন মন্তব্য করা নিয়েও রাহুলকে সতর্ক করে দিয়েছেন বিচারপতিরা। রাহুলের হয়ে প্রবীণ আইনজীবী এএম সিঙ্ঘভি বেঞ্চকে জানিয়ে দেন যে, ভুল করে এ কথা বলার জন্য রাহুল দুঃখপ্রকাশ করেছেন। মীনাক্ষী লেখির আইনজীবী মুকুল রোহতগি পাল্টা বলেন, আদালত রাহুল গাঁধীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টকে জড়িয়ে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ মন্তব্যের জন্য গত ৮ মে লিখিত ভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনাও করেন রাহুল। জানান, ‘আদালতকে আমি সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা দিই। এই মন্তব্য অনিচ্ছাকৃত।’
আরও পড়ুন: ফের বৈঠকে মোদী-শি, কথা একাধিক দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে
আরও পড়ুন: ৮০ চাকার গাড়ি বহনেও সক্ষম হবে নয়া টালা সেতু
ঘটনার সূত্রপাত গত ১০ এপ্রিল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের রাফাল সংক্রান্ত গোপন ফাইল সংবাদ মাধ্যমে ফাঁস হওয়ার পর, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় রাফাল চুক্তি সংক্রান্ত প্রকাশ্যে আসা নথি আদালত খতিয়ে দেখবে। কিন্তু, কেন্দ্র আদালতে জানায়, ওই নথি ‘চুরি যাওয়া’ এবং ‘বেআইনি ভাবে হস্তগত করা’। শীর্ষ আদালত বলে, ওই নথি খতিয়ে দেখেই রাফাল-চুক্তিতে সিবিআই তদন্তের আর্জির রায়ের পুনর্বিবেচনা হবে। ওই নির্দেশের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতকে জড়িয়ে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করে বসেন রাহুল গাঁধী। তিনি বলেছিলেন, ‘‘ সুপ্রিম কোর্টও মেনে নিয়েছে যে চৌকিদার চোর হ্যায়।’’ এর পর তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষি লেখি।