সুপ্রিম কোর্ট। — ফাইল চিত্র।
কাজের জায়গায় ঋতুকালীন সবেতন ছুটি বাধ্যতামূলক করা হলে তা মহিলাদের বিরুদ্ধেই যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে তাঁদের পিছিয়েও পড়তে হতে পারে। সোমবার এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি, এ-ও জানাল, আদালত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এই বিষয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে নীতি নির্ধারণ করতে বলল তারা।
কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের ঋতুকালীন ছুটি বাধ্যতামূলক করার আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। এই বিষয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যকে সু্প্রিম কোর্ট যাতে নীতি নির্ধারণ করার নির্দেশ দেয়, সেই আবেদনও জানানো হয়েছিল। সোমবার সেই আবেদন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এই ধরনের ছুটি বাধ্যতামূলক করা হলে কর্মক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়তে পারেন তারা। মহিলাদের রক্ষা করার জন্য নির্দেশ যদি তাঁদের ক্ষতি করে, তা হলে তা আমরা চাই না।’’
শীর্ষ আদালত এক প্রকার স্পষ্টই জানিয়েছে যে, এটা তাদের হস্তক্ষেপের বিষয় নয়। তাদের পর্যবেক্ষণ, ‘‘এটা কেন্দ্রের নীতি নির্ধারণের বিষয়। আদালতের হস্তক্ষেপের বিষয় নয়।’’ সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছে, ‘‘কেন্দ্রীয় মহিলা এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রক এবং অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভারতীর দ্বারস্থ হওয়ার জন্য আমরা আবেদনকারীকে অনুমতি দিচ্ছি। সচিবকে নীতি নির্ধারণ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করারও অনুরোধ করছি। এই বিষয়ের সঙ্গে জড়িত সমস্ত পক্ষের মতামত নেওয়ার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। এই নিয়ে কোনও নীতি নির্ধারণ করা যায় কি না, তা-ও দেখা হোক।’’ তারা এ-ও জানিয়েছে, এই বিষয়ে কোনও রাজ্য কিছু পদক্ষেপ করলে অন্তরায় হবে না সুপ্রিম কোর্ট।
গত ফেব্রুয়ারিতেও এই নিয়ে আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। তাতে জানানো হয়েছিল, স্কুল, কলেজ, দফতরে মহিলাদের জন্য ঋতুকালীন ছুটি বাধ্যতামূলক করার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হোক। তখনও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, এটা নীতি নির্ধারণের বিষয়। এখন এক মাত্র বিহার এবং কেরলেই মহিলাদের জন্য সবেতন ঋতুকালীন ছুটির নিয়ম চালু রয়েছে। বিহারে কর্মক্ষেত্রে দু’দিন এবং কেরলে তিন দিন মহিলাদের ঋতুকালীন ছুটি দেওয়ার নীতি রয়েছে।