Man Beaten by Mob

কাঁধে বস্তা দেখে ছেলেধরা সন্দেহ, এ বার বসিরহাটে যুবককে খুঁটিতে বেঁধে রেখে মারধর, উদ্ধার করল পুলিশ

অভিযোগ, ওই যুবকের কথা শোনার আগেই তাঁকে মারধর শুরু করা হয়। এর পর গ্রামবাসীদেরই একাংশ মাটিয়া থানায় খবর দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মাটিয়া থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি, যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪ ১৫:৩৪
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

কাঁধে ছিল বস্তা। তা দেখে ছেলেধরা সন্দেহে এক যুবককে গণপিটুনির অভিযোগ উঠল। এ বার বসিরহাটের মাটিয়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ওই যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। পুলিশের দাবি, যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন।

Advertisement

বসিরহাট মহকুমার মাটিয়া থানার রাজেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোমিনপুর উত্তর পাড়ার ওই যুবককে বেঁধে রেখে স্থানীয়েরা মারধর করেন বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের একাংশ দাবি করেছেন, ওই যুবক অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছিলেন। এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন। তাঁর কাছে একটি বস্তাও ছিল। তাতেই তাঁকে ছেলেধরা সন্দেহ করে মারধর শুরু করেন কয়েক জন। অভিযোগ, ওই যুবকের কথা শোনার আগেই তাঁকে মারধর শুরু করা হয়। এর পর গ্রামবাসীদের একাংশ মাটিয়া থানায় খবর দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।

মাটিয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের বাড়ি শাসন থানা এলাকার শাসন গ্রামে। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। গুরুতর কোনও চোট আঘাত নেই তাঁর শরীরে। যুবকের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁর বাড়ির লোকজন এলে তাঁদের হাতে ওই যুবককে তুলে দেওয়া হবে।

Advertisement

গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছেলেধরা সন্দেহে লোকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সব থেকে বেশি গণপিটুনির কথা শোনা গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়। আক্রান্ত কয়েক জনের মৃত্যুও হয়েছে। গুজবে কান না দেওয়ার জন্য বার বার প্রচার করেছে পুলিশ। তার পরেও থামেনি গণপিটুনির ঘটনা। বারসতের কাজিপাড়ায় এক বালককে খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর গণপিটুনির ঘটনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। তার পরেই সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হতে থাকে যে, বারাসতে ছেলেধরার দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার পরে বারসতে তিন জনকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। এর পর অশোকনগরে এক তরুণীকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে পুলিশকে উদ্ধার করতে গিয়ে মারধর খায় পুলিশও। এর পর গাইঘাটায় গণপিটুনির অভিযোগ ওঠে। ট্রেনের ভিতরও শিশুচোর সন্দেহে মহিলাকে হেনস্থা করা হয়। বামনগাছি স্টেশনে দত্তপুকুর থেকে শিয়ালদহগামী একটি লোকাল ট্রেনের লেডিস কম্পার্টমেন্টে উঠেছিলেন বাসন্তী পাণ্ডে। কোলের শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু, সহযাত্রীরা শিশুচোর সন্দেহে ঘেরাও করেন। হেনস্থা করা হয় তাঁকে। খবর যায় আরপিএফের কাছে। বিরাটি স্টেশনে এই নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। তখন কোলের শিশুটিকে পাঠানো হয় চাইল্ড লাইনে। যদিও সে দিনই রাতে প্রমাণ হয়ে যায় যে, বাচ্চাটি ওই মহিলারই। তবে প্রায় সাত দিন পর শিশুকে নিজের কাছে ফিরে পান বাসন্তী। রবিবার চোর সন্দেহে ভাঙড়ে এক যুবককে মারধর করা হয়। তাঁর মৃত্যু হয়েছে। যুবকের নাম আজগর মোল্লা। বয়স ৪২ বছর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement