সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন করে হবে তা দু'সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রাথমিক ভাবে সেই হলফনামা সুপ্রিম কোর্টের হেফাজতে থাকবে।
গত বিধানসভা ভোটে মানিকতলা থেকে জিতেছিলেন প্রয়াত সাধন পাণ্ডে। ২০০২-এর ফেব্রুয়ারিতে তাঁর মৃত্যুর পরে দু'বছর কেটে গেলেও মানিকতলায় উপনির্বাচন হয়নি। কারণ বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে সাধনের জয়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে নির্বাচনী মামলা করেছিলেন। সেই মামলা ঝুলে থাকায় উপনির্বাচন হয়নি। মানিকতলার নাগরিকদের হয়ে দ্রুত নির্বাচন চেয়ে শুভেন্দু দে কলকাতা হাই কোর্টে গেলেও মামলা খারিজ হয়। পরে তা যায় সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতের তোপের মুখে কল্যাণ জানান, তিনি আর নির্বাচনী মামলা নিয়ে চাপাচাপি করতে চান না। পরে কলকাতা হাই কোর্টেও কল্যাণের তরফে জানানো হয়, তিনি নির্বাচনী মামলা প্রত্যাহার করে নেবেন।
আজ সুপ্রিম কোর্ট কমিশনের আইনজীবীর কাছে জানতে চায়, এত দেরি হচ্ছে কেন? আদালত স্পষ্টই জানায়, এ ভাবে চলতে পারে না। মামলাকারীর আইনজীবী জানান, ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন হলে ভাল হয়। কমিশনের আইনজীবী বলেন, “এত কম সময়ে এ ভাবে বলা সম্ভব নয়। তার উপরে এখন নির্বাচন চলছে। তবে আমরা দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করব। তা ছাড়া দেরি তো আমাদের জন্য হয়নি।” মামলাকারীর আইনজীবী জানান, অতীতে ২ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন ঘোষণা হয়েছে। সেই ঘোষণার তথ্য জমা দেওয়ার অনুমতি চান আইনজীবী।
শীর্ষ আদালত জানায়, ২ মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। তা না হলে ফল ভুগতে হবে কমিশনকে। কারণ, কমিশনই নির্বাচন করানোর উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ। তাই দ্রুত নির্বাচনী নির্ঘণ্ট জমা দিতে হবে।