শাহিন বাগের প্রতিবাদীদের সঙ্গে কথা বলছেন দুই মধ্যস্থতাকারী। ছবি: পিটিআই
বহু কাঠখড় পুড়িয়েও শাহিন বাগের আন্দোলনকারীদের দমানো যায়নি। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট-নিযুক্ত মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে জট খোলার আশা তৈরি হয়েছে। শাহিন বাগে গিয়ে প্রতিবাদীদের সঙ্গে কথা বললেন সুপ্রিম কোর্টের নিয়োগ করা দুই মধ্যস্থতাকারী সঞ্জয় হেগড়ে ও সাধনা রামচন্দ্রণ। প্রথম দিন শাহিন বাগে গিয়ে তাঁদের আহ্বান, ‘‘আসুন সবাই মিলে আমরা একটা সমাধান সূত্র বের করি।’’
শাহিন বাগ সংক্রান্ত একটি মামলায় সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, ‘‘প্রতিবাদ করা মৌলিক অধিকার।’’ একই সঙ্গে বিচারপতিরা বলেন, ‘‘কিন্তু সবাই যদি প্রতিবাদ করতে রাস্তায় বসে পড়েন, তাহলে সাধারাণ মানুষ যাবেন কোথায়!’’ প্রতিবাদীদের সঙ্গে আলোচনা করে আন্দোলনের বিকল্প জায়গা খুঁজতে বর্ষীয়ান দুই আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে ও সাধনা রামচন্দ্রণকে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করে দেয় শীর্ষ আদালত। পরের দিনই শাহিন বাগের আন্দোলনকারী মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে এলেন দুই মধ্যস্থতাকারী।
প্রতিবাদীদের মঞ্চে দাঁড়িয়েই দুই মধ্যস্থতাকারী সুপ্রিম কোর্টের সোমবারের ওই নির্দেশিকা সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেন। তাঁরা বলেন, ‘‘শীর্ষ আদালত আপনাদের প্রতিবাদের অধিকার দিয়েছে। আমরা সবার কথা শুনব। আমরা এমন একটা সমাধানে পৌঁছব, যাতে সারা বিশ্বে একটা উদাহরণ হয়ে থাকে।’’ এর সবাই মিলে সমাধানসূত্র বের করার আহ্বান জানান দুই আইনজীবী।
তবে তাঁদের সঙ্গে কথোপকথন ঘিরে কিছুটা জটিলতা তৈরি হয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি নিয়ে। দুই মধ্যস্থতাকারী বলেন, তাঁরা সংবাদ মাধ্যমের অনুপস্থিতিতে কথা বলতে চান। কিন্তু প্রতিবাদীরা তাতে রাজি হননি। শেষ পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমের সামনেই কথা হয় দু’পক্ষের।
আরও পডু়ন: মরতেই এলে কী করে বাঁচবে, সিএএ বিক্ষোভ নিয়ে মন্তব্য যোগীর
আরও পডু়ন: কোথায় ছিলেন মমতা, খোঁজ রাখতেন তাপসের? তীব্র আক্রমণে বিজেপি-বাম-কংগ্রেস
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দিল্লির শাহিনবাগে প্রায় দু’মাস ধরে আন্দোলন করছেন মহিলারা। তাঁদের সঙ্গে অনেক শিশুও রয়েছে। তার মধ্যে শীতের প্রকোপে এক শিশুর মৃত্যুও হয়েছে। অন্য দিকে আন্দোলনের জেরে দীর্ঘদিন ধরেই শাহিন বাগের ওই এলাকায় কার্যত রাস্তা বন্ধ হয়ে রয়েছে। তার জেরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন দিল্লিবাসী। এ ভাবে রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন কতটা যুক্তিযুক্ত, সেই প্রশ্ন তুলে আদালতে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাতেই দুই মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করে সুপ্রিম কোর্ট।