সুপ্রিম কোর্ট।
১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থাকে ‘অসাংবিধানিক’ বলা যাবে কি না বা ‘অসাংবিধানিক’ বলা আদৌ সম্ভব কি না তা খতিয়ে দেখতে রাজি হল সুপ্রিম কোর্ট।
বীর সারিন নামে ৯৪ বছরের এক বৃদ্ধা এ নিয়ে একটি পিটিশন দাখিল করেন। সেখানে বীর জানান, তিনি এবং তাঁর স্বামী কে সারিনকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয় ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার সময়। তাঁদের সমস্ত স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। তাঁর দাবি, দিল্লিতে সে সময় তাঁদের গয়নার দোকান ছিল। সেগুলোও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। আর্থিক কষ্টে থাকতে হয়েছে তাঁদের। পরে তাঁর স্বামীও মারা যান। এই জরুরি অবস্থা তাঁদের সব কিছু কেড়ে নিয়েছিল। তাই এই জরুরি অবস্থাকে ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করা হোক এমনই আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বীর।
সোমবার বিচারপতি এস কে কলের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, ঘটনার প্রায় ৪৫ বছর অতিক্রান্ত। এই ঘটনার অনেক ব্যক্তিই এখন আমাদের মাঝে নেই। এমন অবস্থায় এই জরুরি অবস্থাকে ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করা উচিত কি উচিত নয়, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুবই কঠিন।
কিন্তু বীরের আইনজীবী হরিশ সালভে আদালতকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, এটা ক্ষমতার অপব্যবহার। এ ধরনের ভুল যদি শুধরানো না হয়, তা অনন্ত কাল ধরে চলে যাবে। আদালতে তিনি বলেন, “এই জরুরি অবস্থা খুব একটা পুরনো নয়। এখনও সেই সময়কার মানুষজন আছেন। এটা গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ ছিল। এই ঘটনাটি খতিয়ে দেখা উচিত।”
আদালত শেষমেশ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সম্মত হয়। সেই সঙ্গে কেন্দ্রকে এ বিষয়ে একটি নোটিসও পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত।