পুরনো বাবরি মসজিদের এই কাঠামোতেই কি নয়া মসজিদ? —ফাইল চিত্র
অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির পক্ষে রায় দেওয়ার পাশাপাশি মসজিদ তৈরির জন্য পাঁচ একর জমি দেওয়ার কথা বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায়ে রাম মন্দির সমস্যা কার্যত মিটে গিয়েছে। এ বার জট কাটল মসজিদ তৈরিতেও। উত্তরপ্রদেশ সরকারের দেওয়া পাঁচ একর জমি গ্রহণ করল সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। সোমবার বোর্ডের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বোর্ডের কর্মকর্তারা। তবে নাম ‘বাবরি মসজিদ’ই হবে কি না, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি ওয়াকফ বোর্ড।
গত নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর থেকেই নানা জল্পনা শুরু হয়েছিল। অযোধ্যায় সরকারের দেওয়া বিকল্প জমি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড নাও গ্রহণ করতে পারে, এমন হাওয়া উঠেছিল। আবার এমন গুঞ্জনও ছিল যে, ওই জমিতে মসজিদ না বানিয়ে একটি হাসপাতাল বা অন্য কোনও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হতে পারে। কিন্তু সেই সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড সোমবার জানিয়ে দিল, ওই জমি গ্রহণ করছে তারা এবং জমিতে মসজিদ তৈরি হচ্ছে।
সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান জুফার ফারুকি বলেন, ‘‘আজকের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, উত্তরপ্রদেশ সরকার যে জমি আমাদের জন্য বরাদ্দ করেছে, তা গ্রহণ করা হবে। তার সঙ্গে একটি ইন্দো-ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, একটি দাতব্য হাসপাতাল এবং একটি লাইব্রেরিও তৈরি হবে ওই জমিতে।’’ তিনি জানিয়েছেন, এর পর মসজিদ তৈরির জন্য একটি ট্রাস্ট গঠন করা হবে। কিন্তু মসজিদের নাম কি বাবরি মসজিদই হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে ফারুকি বলেন, ‘‘সেটা ট্রাস্ট সিদ্ধান্ত নেবে। এর সঙ্গে বোর্ডের কিছু করার নেই।’’ স্থানীয় মানুষের চাহিদার উপর ভিত্তি করেই মসজিদ কত বড় হবে, তা ঠিক করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি মসজিদের কাঠামোও বাবরি মসজিদের মতো হবে কি না, সে বিষয়েও কিছু বলতে চাননি ফারুকি।
আরও পড়ুন: সিএএ: রণক্ষেত্র দিল্লি, আগুন-ইট-সংঘর্ষ, হত পুলিশকর্মী
তবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষোভও গোপন রাখেননি ফারুকি। তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে, তাতে অযোধ্যায় মসজিদ তৈরির জন্য ওই জমি গ্রহণ করা ছাড়া আমাদের হাতে আর কোনও বিকল্প ছিল না। গ্রহণ না করলে আদালত অবমাননার দায়ে পড়তাম আমরা।’’ ওয়াকফ বোর্ডের মোট সদস্য আট জন। তার মধ্যে সোমবারের বৈঠকে ছিলেন ৬ জন।
আরও পডু়ন: সন্ত্রাস দমনে ব্যবস্থা নিতে হবে, ভারতে দাঁড়িয়ে ট্রাম্পের বার্তা পাকিস্তানকে
গত বছরের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, অযোধ্যার মূল বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির তৈরিতে কোনও বাধা নেই। তবে মসজিদ তৈরির জন্য অযোধ্যাতেই বিকল্প পাঁচ একর জমি দিতে হবে সরকারকে। সেই রায়ের পরেই জমির খোঁজ করতে শুরু করে উত্তরপ্রদেশ সরকার। শেষ পর্যন্ত গত পাঁচ ফেব্রুয়ারি রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর ওই পাঁচ একর জমি বরাদ্দ করা হয়।