(বাঁ দিক থেকে) জি কিসান রেড্ডি, বাবুলাল মরান্ডি, সুনীল ঝাখর এবং ডি পুরন্দেশ্বরী। ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর বিজেপিতে শুরু হয়ে গেল সাংগঠনিক রদবদলের প্রক্রিয়া। মঙ্গলবার চার রাজ্যের নয়া বিজেপি সভাপতি নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তাঁদের মধ্যে তিন জনই গত কয়েক বছরে অন্য দল থেকে আসা নেতা!
পঞ্জাব বিজেপির নয়া সভাপতি হিসেবে সুনীল ঝাখরের নাম ঘোষণা করা হয়েছে মঙ্গলবার। গত বছর মে মাসে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন লোকসভার প্রয়াত প্রাক্তন স্পিকার বলরাম ঝাখরের ছেলে সুনীল। পঞ্জাব কংগ্রেস রাজনীতিতে অমরিন্দর সিংহের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত সুনীল চার দশকেরও বেশি কংগ্রেস রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পাশাপাশি, সে রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রীও ছিলেন তিনি।
ঝাড়খণ্ড বিজেপির নয়া সভাপতি বাবুলাল মরান্ডি ২০০০-০২ সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৬ সালে বিজেপি ছেড়ে নয়া দল ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা (জেভিএম) গড়ে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ঝাড়খণ্ডে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডির ‘মহাজোটের’ শরিক ছিল জেভিএম। কিন্তু ২০১৯-এর ডিসেম্বরে বিধানসভা ভোটে আসন ভাগাভাগি নিয়ে মতবিরোধের জেরে একা লড়েন মরান্ডি। তিনি নিজে এবং আরও দুই প্রার্থী জয়ী হন। এর কয়েক মাস পরে মরান্ডি বিজেপিতে যোগ দিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হন। কিন্তু তাঁর দলের অন্য দুই বিধায়ক, প্রদীপ যাদব এবং বান্ধু তিরকে যোগ দেন কংগ্রেসে।
অন্ধ্রপ্রদেশের নয়া বিজেপি সভানেত্রী হয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেত্রী তথা মনমোহন সিংহের মন্ত্রিসভার সদস্য ডি পুরন্দেশ্বরী। তাঁর বাবা প্রয়াত এনটি রামা রাও ছিলেন অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) প্রতিষ্ঠাতা। ২০১৪ সালে মনমোহন সরকার অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে তেলঙ্গানা রাজ্য গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়ে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন পুরন্দেশ্বরী। তেলঙ্গানার নয়া বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় জি কিসান রেড্ডি অবশ্য ১৯৮০ সালে বিজেপি প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই দলের সদস্য। আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে ওই রাজ্যে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। তার আগে বিতর্কিত নেতা বান্দি সঞ্জয়কে সরিয়ে কিসানের হাতে দলের দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা।