ভোপালে বৈঠকে কংগ্রেস নেতৃত্ব। ছবি: পিটিআই।
জনমত সমীক্ষার ফল বলছে এ বার পালাবদলের সম্ভাবনা প্রবল। কর্নাটকের মতো সে রাজ্যেও বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদানের হিড়িক পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিল রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গের দল।
সোমবার মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের কৌশল নির্ধারণ বৈঠক হয়। সেখানে হাজির ছিলেন, রাজ্যের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ এবং দিগ্বিজয় সিংহ। ছিলেন এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেনুগোপাল এবং মধ্যপ্রদেশের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক জয়প্রকাশ অগ্রবাল। বৈঠকের পরে কমল দাবি করেন, আসন্ন বিধানসভা ভোটে সে রাজ্যের ২৩০টি আসনের মধ্যে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পাবে কংগ্রেস। পতন ঘটবে বিজেপি সরকারের।
২০১৮-র বিধানসভা ভোটে জিতে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ক্ষমতা দখল করলেও দেড় বছরের মাথাতেই জ্যোতিরাদিত্যের সাহায্যে দু’ডজন বিধায়ক ভাঙিয়ে কমলের সরকারের পতন ঘটিয়েছিল বিজেপি। চলতি বছরের শেষেই সে রাজ্যে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। বিভিন্ন জনমত সমীক্ষা বলছে, সে রাজ্যে এ বার বিজেপিকে চাপে ফেলতে পারে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে গত কয়েক মাসে একের পর এক বিজেপি নেতা কংগ্রেস যোগ দিয়েছেন। মে মাসে তিন বারের বিজেপি বিধায়ক তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কৈলাস জোশীর পুত্র দীপক যোগ দেন রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গের দলে। তাঁর সঙ্গে প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক রাধেলাল বঘেলও দল বদলান। জুন মাসে জ্যোতিরাদিত্যের দুই প্রভাবশালী অনুগামী, শিবপুরী জেলার নেতা বৈজনাথ সিংহ এবং রাকেশকুমার গুপ্ত ‘পদ্ম’ ছেড়ে ‘হাত’ ধরেছেন।