Sulabh founder Bindeshwar Pathak

জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেই অসুস্থ, এমসে মৃত্যু সুলভ শৌচালয়ের প্রতিষ্ঠাতা বিন্ধ্যেশ্বর পাঠকের

মঙ্গলবার সকালে দিল্লিতে সুলভ ইন্টারন্যাশনালের একটি দফতরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিন্ধ্যেশ্বর পাঠক। তার পরেই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন তিনি। পরে এমসে তাঁর মৃত্যু হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২৩ ১৬:৩৪
Share:

সুলভ ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা বিন্ধ্যেশ্বর পাঠক — ফাইল ছবি।

প্রয়াত হলেন সুলভ ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা সমাজকর্মী বিন্ধ্যেশ্বর পাঠক। মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসের পতাকা উত্তোলনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বিন্ধ্যেশ্বর। তার পর অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে দিল্লি এমসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

Advertisement

১৯৭০ সালে বিন্ধ্যেশ্বর প্রতিষ্ঠা করেন ‘সুলভ ইন্টারন্যাশনাল সোশ্যাল সার্ভিস অর্গানাইজ়েশন’। মূল উদ্দেশ্য, খোলা স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করা থেকে ভারতের সাধারণ মানুষকে বিরত রাখা। সে জন্য বিন্ধ্যেশ্বরের সংগঠন দেশ জুড়ে অসংখ্য সুলভ শৌচালয় তৈরি করেছে। দেশের বিরাট অংশের মানুষের শৌচালয় তৈরির আর্থিক সঙ্গতি নেই। তাঁদের কথা ভেবেই প্রথম বার পথে নামেন বিন্ধ্যেশ্বর। তার পর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাননি তিনি। হাজার বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে দেশের প্রতিটি কোণে গড়ে উঠছে তাঁর সুলভ শৌচালয়। আর এ কারণে অনেকে তাঁকে কেবলমাত্র সমাজকর্মী হিসাবেই সীমাবদ্ধ রাখতে রাজি নন। একটি অংশের মানুষের কাছে বিন্ধ্যেশ্বর সমাজ সংস্কারকও বটে। নিজেকে মহাত্মা গান্ধীর শিষ্য বলে দাবি করা বিন্ধ্যেশ্বর গোটা জীবনই সমর্পিত করেছেন জাতির সেবায়।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে নয়াদিল্লিতে সুলভের দফতরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। তার পরেই আচমকা অসুস্থবোধ করতে শুরু করেন। তড়িঘড়ি তাঁকে দিল্লির এমস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এমসে ভর্তি করানোর পর শুরু হয় চিকিৎসা। সেখানেই বিন্ধ্যেশ্বরের মৃত্যু হয়। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সংগঠনটিতে। শোকপ্রকাশ করেছেন বহু মানুষ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement