ফাইল চিত্র
ত্রিপুরা বিজেপির ‘সংস্কারপন্থী’ কয়েক জন নেতাকে নিয়ে আজ বৈঠক করলেন রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায়বর্মণ। জানালেন, যে দলে আছেন সেই দলকেই আরও শক্তিশালী করতে চান। বিজেপি মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্যের দাবি, এ দিনের বৈঠক সম্পর্কে তাঁর কিছু জানা নেই।
আগরতলার মহারানি তুলসীবতী স্কুলে এই বৈঠকে সুদীপ ছাড়াও হাজির ছিলেন আরও চার বিধায়ক এবং ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রের বেশ কয়েক জন স্থানীয় নেতা।
সম্প্রতি ত্রিপুরায় বিপ্লব দেব সরকারের কাজকর্মের বারবার সমালোচনা করেছেন সুদীপ। এক সময়ে ত্রিপুরায় তৃণমূলের শাখা তৈরি করেছিলেন তিনি। ত্রিপুরায় তৃণমূলের সাম্প্রতিক সক্রিয়তার মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে সুদীপ কি বিজেপি ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিতে চান?
আজ বৈঠকের পরে সুদীপ বলেন, ‘‘যে দলে রয়েছি তাকে কী ভাবে শক্তিশালী করা যায় তা-ই খতিয়ে দেখছি। বিভিন্ন দুর্বলতা চিহ্নিত করতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। তার পরে নেতৃত্বের কাছে আমরা প্রস্তাব পেশ করব। যাতে সংশোধনের মাধ্যমে একটি জনকল্যাণমুখী সরকার গঠন করা যায়।’’
সুদীপের দাবি, দল ও সরকার দলীয় কর্মীদের অভিযোগ শুনতে চাইছে না। ফলে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় কর্মীদের মনে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আজ এই বৈঠকে অনেক পুরনো নেতা এসেছেন। ক্ষোভ আছে বলেই তো সকলে জড়ো হয়েছেন।’’ সুদীপ জানান, এ দিনের বৈঠকে সকলকে ক্ষোভের কথা জানাতে বলা হয়েছিল। তার পরে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, সরকার ও রাজ্য নেতৃত্বের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠানো হবে। তাতে দল ভুল সংশোধন করতে পারবে। ভুল হলে সংশোধন না করা অন্যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ দিন ফের রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিপ্লব সরকারকে বিঁধেছেন সুদীপ। তাঁর দাবি, আইন-শৃঙ্খলার উন্নতির জন্য সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে। রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফেরানো প্রয়োজন। তাঁর আরও অভিযোগ, কেন্দ্রীয় নেতারা অনেক সময়ে অনেক প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যকর পদক্ষেপ করেননি। সংবাদমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশিত হচ্ছে বলেও দাবি তাঁর।