Biplab Kumar Deb

বিপ্লবের বাড়ির বৈঠকে ‘আমন্ত্রণ পাননি’ সুদীপ

শুক্রবার বিজনেস অ্যাডভাইসারি কমিটি বা বিএসি-র বৈঠকেও সুদীপ রায় বর্মন উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আগরতলা শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:৪১
Share:

—ফাইল চিত্র।

শাসকদলের বিধায়ক এবং প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মনের সঙ্গে বিরোধ নতুন নয় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেবের। এ বার তা নতুন মোড় নিল। সোমবার বিধানসভার এক দিনের অধিবেশনের আগে রবিবার মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে পরিষদীয় দলের বৈঠকে সুদীপকে ডাকাই হয়নি— এমন অভিযোগ তুলেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা। সুদীপ জানিয়েছেন, এই বৈঠকের বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। আবার বিধানসভায় বিজেপির মুখ্যসচেতক কল্যাণী রায়ের দাবি, সুদীপকে ‘দলের পক্ষে’ জানানো হয়েছে।

Advertisement

শুক্রবার বিজনেস অ্যাডভাইসারি কমিটি বা বিএসি-র বৈঠকেও সুদীপ রায় বর্মন উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পরে স্পিকার রেবতীমোহন দাস, ডেপুটি স্পিকার বিশ্ববন্ধু সেন, উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা, পরিষদীয় মন্ত্রী রতনলাল নাথ ও মুখ্যসচেতক কল্যাণী রায় এবং তিনি সদস্যরা দূরত্ব বিধি মেনে কী ভাবে বসবেন, বিধানসভা ঘুরে তা ঠিক করেন। তার পরেও পরিষদীয় বৈঠকে তাঁকে কেন ডাকা হল না, সুদীপের ঘনিষ্ঠরা তা নিয়ে বিস্মিত।

বিজেপি-আইপিএফটি সরকারের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ছে বলে মন্তব্য করছেন শাসক দলের অনেক নেতা-কর্মীই। শনিবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্র বনমালীপুরে দলের কর্মীদের বৈঠকে ডেকে বিপ্লব মনে করিয়ে দিয়েছেন, মানুষ অনেক প্রত্যাশা নিয়ে এই সরকারকে ক্ষমতায় এনেছে। সিপিএম নেতা পবিত্র করের দাবি, বিজেপির পায়ের তলা থেকে মাটি সরছে বলেই মুখ্যমন্ত্রীকে কর্মীদের এই সব মনে করিয়ে দিতে হচ্ছে। ৩০ মাসে শরিকি দ্বন্দ্বও তীব্র হয়েছে।

Advertisement

এমন একটা সময়ে দলে সুদীপ রায় বর্মনের মতো বর্ষীয়ান ও প্রভাবশালী নেতাকে পরিষদীয় বৈঠকে না-ডেকে তাঁর সঙ্গে বিবাদকে নতুন মাত্রা দেওয়ায় বিপ্লবের কৌশল নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। বিজেপির এক নেতা জানিয়েছেন, সুদীপ ছাড়াও অনেককে এ দিন পরিষদীয় বৈঠকে দেখা যায়নি। মুখ্যসচেতকের কথায়, ‘‘এটা ঠিক, ফোন ব্যস্ত থাকায় অনেক বিধায়কে বৈঠকের খবর দিয়ে ওঠা যায়নি।’’ তবে বিরোধীরা এই অনুপস্থিতির অন্য ব্যাখ্যা দিচ্ছেন।

আগরতলা শহর সংলগ্ন একটি কেন্দ্রের বিধায়ক জানিয়েছেন— তিনি পরিষদীয় বৈঠক এবং অধিবেশন, কোনওটাতেই যাচ্ছেন না। তাঁর কথায়, “এই এক দিনের বিধানসভা অধিবেশনের কোনও মানে হয় না। স্থানীয় কোনও সমস্যা তোলাই যাবে না। এমনিতেই এলাকার মানুষ আমাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন!” তাঁর আরও দাবি, শাসক দলের অন্তত ১১ জন বিধায়ক সোমবারের অধিবেশনে গরহাজির থাকবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement