করোনার আতঙ্কের আবহেই রাস্তায় জমায়েত। ছবি টুইটার থেকে সংগৃহীত।
দিনভর জনতা কার্ফুর পর বিকালে আপৎকালীন পরিষেবার কর্মীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের জন্য বারান্দা থেকে থালা-ঘণ্টা বাজানোর ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সারাদিন ঘরবন্দি থাকার পর, দেশের বিভিন্ন জায়গায় থালা বাজানোর নামে যে ভাবে লোকজন জড়ো হয়েছেন, তাতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন নেটাগরিকদের একটা বড় অংশ। সেই সব ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই সব পোস্টে ব্যবহৃত ‘স্টুপিডিটি’ হ্যাশট্যাগ সোমবার ট্রেন্ডিং হয়েছে।
সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের মাধ্যমেই করোনাভাইরাসের কবল থেকে বাঁচার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তা বজায় রাখতেই জনতা কার্ফুর ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কিছু মানুষ যে ভাবে থালা, বাজনা বাজাতে নেমেছিলেন, তাতে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এই সব জমায়েতের জেরে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল প্রবল। সেই কাজকেই ‘স্টুপিডিটি’ বা ‘আহাম্মকি’ আখ্যা দিয়েছেন নেটাগরিকরা।
সেই সব ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, রাস্তার মধ্যে জড়ো হয়ে মহিলারা থালা বাজাচ্ছেন। কোথাও ঢোল তাসা বাজিয়ে লোকজন নাচছেন। কোনও ভিডিয়োতে পুলিশকেও দেখা গিয়েছে সেই সব মিছিলে হাঁটতে। করোনার মোকাবিলায় এই ধরনের পদক্ষেপের মূল্য চোকাতে হতে পারে সেই আশঙ্কাই বারে বারে উঠে এসেছে নেটাগরিকদের পোস্টে। এই ধরনের কর্মকাণ্ড রুখতে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতেও অনুরোধ করেছেন তাঁরা। দেখুন সেই সব ভিডিয়ো—
আরও পড়ুন: জনতা কার্ফুর সময় বাইক আরোহীকে পিটিয়ে তোপের মুখে গোয়া পুলিশ!
আরও পড়ুন: দেশে আক্রান্ত বেড়ে ৪১৫, বহু রাজ্যে লকডাউন: করোনা আপডেট