শঙ্করের নয়া দাবির প্রতিবাদে সরব দেশের শিল্পমহল। ফাইল চিত্র।
শুক্রবার দিল্লির পটিয়ালা হাউস আদালতে শঙ্কর মিশ্র দাবি করেছিলেন, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে তিনি প্রস্রাব করেননি। অভিযোগকারী মহিলা নিজের অজান্তেই প্রস্রাব করে ফেলেছেন। শঙ্করের আইনজীবী তাঁর মক্কেলের সমর্থনে জানিয়েছিলেন, শঙ্কর নয়, আদতে প্রস্রাব করে ফেলেন ওই বৃদ্ধা। একই সঙ্গে তিনি জানান, অনেক কত্থক শিল্পীরও এই রোগ থাকে, যেখানে প্রস্রাব করে ফেলেও তাঁরা তা টের পান না। এমন ‘অবমাননাকর’ মন্তব্যের বিরুদ্ধে এ বার সরব হলেন দেশের কত্থক শিল্পীরা।
দেশের প্রখ্যাত কত্থক শিল্পী শোভনা নারায়ণ একটি সংবাদ সংস্থাকে এই প্রসঙ্গে জানান, কত্থক শিল্পীদের নিয়ে শঙ্করের মন্তব্য ‘অদ্ভুত এবং বিভ্রান্তিকর’। এক ভদ্রমহিলা কী ভাবে নিজেই প্রস্রাব করে ফেলবেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর কথায়, “অজান্তে প্রস্রাব করে ফেলা এবং নিজের দিকে তাক করে প্রস্রাব করে ফেলার মধ্যে ফারাক আছে। প্রথমটি সম্ভব হলেও দ্বিতীয়টা কী ভাবে সম্ভব”
মনীষা গুলইয়ানি ৩০ বছর ধরে কত্থক নৃত্যের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর কথায়, “দীর্ঘ অভ্যাসের কারণে কত্থক শিল্পীদের পেলভিস (কোমরের হাড়) অন্যান্যদের তুলনায় খানিক চওড়া হয়। কিন্তু এর সঙ্গে অজান্তে প্রস্রাব করে ফেলার কোনও সম্পর্ক নেই।” বেনারসের প্রখ্যাত কত্থক নৃত্যশিল্পী সোনি চৌরাসিয়া সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছিলেন, মন এবং শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করার পাঠই নৃত্যশিল্পীরা তাঁদের তালিমের মাধ্যমে পেয়ে থাকেন। তাঁর দাবি, শঙ্করের ওই মন্তব্যে দেশের সমস্ত কত্থকশিল্পীকে অপমান করা হয়েছে।
শুক্রবার শঙ্করের আইনজীবী আদালতে জানান, বৃদ্ধা সহযাত্রীর আসনটি যান্ত্রিক উপায়ে বন্ধ ছিল। তাই তাঁর সামনে গিয়ে প্রস্রাব করার কোনও সম্ভাবনাই ছিল না। অন্য সহযাত্রীরা এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করলেন না কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। গত ২৬ নভেম্বর নিউ ইয়র্ক-দিল্লি এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে মত্ত হয়ে এক বৃদ্ধা সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শঙ্করের বিরুদ্ধে। বেঙ্গালুরু থেকে তাঁকে আগেই গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ।