সংসদে জিরো আওয়ারে সনিয়া গাঁধীর বক্তৃতা। ছবি: পিটিআই।
লিঙ্গ বৈষম্য সংক্রান্ত বিতর্ক এড়াতে পিছু হঠল সিবিএসই। দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার ইংরেজির বিতর্কিত প্রশ্ন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করা হল সোমবার। সিবিএসই জানিয়েছে, যে পরীক্ষার্থীরা ওই প্রশ্নের উত্তর লিখেছে, তাদের প্রত্যেককেই পুরো নম্বর দেওয়া হবে।
সিবিএসই পরীক্ষার বিতর্কিত প্রশ্ন ঘিরে সোমবার অশান্তি হয় সংসদে। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী, সিবিএসই দশম শ্রেণির পরীক্ষার ওই প্রশ্নকে ‘চরম নারীবিদ্বেষী’ বলেন। সংসদে জিরো আওয়ারে বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারকে এ জন্য নিঃশর্তে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’’ কংগ্রেস-সহ কয়েকটি বিরোধী দলের সাংসদেরা কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত সিবিএসই-র এই পদক্ষেপের প্রতিবাদ ওয়াকআউট করেন।
দশম শ্রেণির পরীক্ষার একটি প্রশ্নে বলা হয়, ‘স্ত্রী যদি স্বামীর কথা মেনে চলেন, তবে সন্তানেরাও তাঁদের মায়ের বাধ্য হবে’। অন্য একটি বাক্যে বলা হয়, ‘মা আশকারা দেন বলেই সন্তানকে নিয়ন্ত্রণ করতে অভিভাবকদের সমস্যা হয়’।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী সোমবার টুইটারে লেখেন, ‘সিবিএসই-র এ বারের পরীক্ষার বেশিরভাগ প্রশ্নই কঠিন। ইংরেজি পরীক্ষার কম্প্রিহেনশন অংশ একেবারে ঘৃণ্য। আরএসএস এবং বিজেপি মিলে দেশের যুব সমাজের নৈতিকতা এবং ভবিষ্যৎ শেষ করতে চাইছে। শিশুরা তোমাদের সেরাটা দাও। কঠোর পরিশ্রমই কাজে দেয়, ধর্মান্ধতা নয়।’
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধীও সিবিএসই-র বিতর্কিত প্রশ্নের বিরোধিতায় টুইট করেন। লেখেন, ‘অবিশ্বাস্য! সত্যিই আমরা শিশুদের কী করতে শেখাচ্ছি! স্পষ্ট হল, বিজেপি সরকার মহিলাদের সম্পর্কে খারাপ ধারণাগুলি সমর্থন করে। তা না হলে কেন তা সিবিএসই-র প্রশ্নপত্রে ঠাঁই পাবে?’