কাশী বিশ্বনাথ মন্দির করিডর উদ্বোধনের পর বক্তৃতা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
করিডর ঘুরে দেখার পর যোগীকে সঙ্গে নিয়ে মোদী লতিতা ঘাট থেকে নৌকা করে যান রবিদাস ঘাটে। সন্ত রবিদাসের উদ্দেশে প্রার্থনা করেন তিনি।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়েই নবনির্মিত কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের করিডর ঘুরে দেখলেন মোদী।
করিডরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর নির্মাণকর্মীদের সঙ্গে বসে খাবার খেলেন মোদী। সে সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন যোগী আদিত্যনাথ।
বারাণসীতে তিন লক্ষ্যের কথা বললেন মোদী। পরিচ্ছন্নতা, উদ্ভাবনী এবং আত্মনির্ভর ভারত গড়ার সংকল্প নিতে আর্জি জানালেন দেশবাসীকে।
‘হর হর মহাদেব’— উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় প্রায়শই উঠে এসেছে মহাদেব ভজনার এই শব্দবন্ধ। কাশী বিশ্বনাথ মন্দির করিডর উদ্বোধনে বেশ সুর করেই মোদী একাধিক বার বলেছেন ‘হর হর মহাদেব’।
কাশী বিশ্বনাথ মন্দির করিডরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ঔরঙ্গজেব এবং শিবাজীর প্রসঙ্গ তুললেন মোদী। তিনি বলেছেন, ‘‘কাশী অনেক উত্থানপতনের সাক্ষী থেকেছে। অনেক সুলতান এসেছে, চলে গিয়েছে। কিন্তু কাশী রয়েছে। ঔরঙ্গজেবের অত্যাচার ইতিহাস জানে। কিন্তু তাঁর পাল্টা শিবাজিও ছিলেন।’’
করোনাকালেও কাশী বিশ্বনাথ করিডর নির্মাণের কাজ চলেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ জন্য তিনি নির্মাণ শ্রমিকদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন।
অসম্ভব বলে কিছু নেই। ইচ্ছে থাকলে সবকিছু সম্ভব। এমনই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পের সাফল্য নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তার প্রেক্ষিতে বলতে গিয়েই এ কথা বলেছেন মোদী। আজকের ভারত বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নবনির্মিত করিডরের জেরে কী সুবিধা হবে সাধারণ মানুষ এবং প্রবীণদের। সে কথা সোমবার বিস্তারিত বলেছেন মোদী। সোমবার থেকেই জনসাধারণের জন্য করিডর খুলে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কাশীতে এক জনেরই সরকার রয়েছে। যাঁর হাতে ডমরু রয়েছে। তিনি চেয়েছেন বলেই এই কাজ সম্ভব হয়েছে। সোমবার এ কথা বলেছেন নরেন্দ্র মোদী। কাশী বিশ্বনাথ মন্দির করিডরের উদ্বোধনে এ কথা বলেছেন তিনি।
মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ যোগী সোমবার করিডর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে টেনে আনলেন মহাত্মা গাঁধীকে। তিনি বলেছেন, ‘‘গাঁধী ১০০ বছর আগে বারাণসীতে এসে দুঃখ করেছিলেন। নোংরা, ঘিঞ্জির মধ্যে মানুষকে থাকতে দেখে দুঃখ পেয়েছিলেন। মহাত্মার সেই দুঃখ দূর করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।’’
কাশী বিশ্বনাথ মন্দির করিডরের জন্য মোদীকে শুভেচ্ছা জানালেন যোগী। তিনি বলেছেন, ‘‘মোদীজি ভারতের সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরছেন প্রধানমন্ত্রী। এই কাজ তারই অঙ্গ। কাশী বিশ্বনাথ ধাম হোক বা অযোধ্যার রামমন্দির সবেতেই তার ছাপ পাওয়া যাচ্ছে।’’ মহাত্মা গাঁধীর দুঃখ মোদী দূর করেছেন করেছেন বলেও দাবি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর।
কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর শুরু হল করিডর উদ্বোধনের অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে এখন বক্তৃতা করছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো দিচ্ছেন মোদী। মোদীর উপস্থিতিতে মন্ত্রোচ্চারণ করছেন পুরোহিতরা। পুজোর সঙ্গে আরতিও করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
গঙ্গায় প্রধানমন্ত্রীর ডুব দেওয়ার দৃশ্যের সাক্ষী থাকল বারাণসী। তার পরই তিনি যান কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে। সেখানে পুজো দিচ্ছেন তিনি। এর পরই ‘স্বপ্নের’ করিডরের উদ্বোধন করবেন তিনি।
আর কিছুক্ষণের মধ্যেই বারাণসীতে কাশী বিশ্বনাথ করিডর প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মোদী। কাশী বিশ্বনাথ মন্দির থেকে গঙ্গার পাড় অবধি পাঁচ লক্ষ বর্গফুট এলাকা জুড়ে সাজিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে করিডর। ২০১৯ সালে এই প্রকল্পের শিল্যন্যাস করেছিলেন মোদী। তার পর প্রায় ৩৩৯ কোটি টাকা খরচে হয়েছে এই করিডর।
গঙ্গাভ্রমণের পর গঙ্গায় ডুব দিয়ে স্নান করলেন মোদী। তার পর গঙ্গায় পুজো দিচ্ছেন তিনি।
যোগী আদিত্যনাথকে সঙ্গে নিয়ে গঙ্গায় নৌবিহার শেষ হল মোদীর। ঘাট থেকে নেমে কাশী বিশ্বনাথ করিডর উদ্বোধনের অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে মন্দির প্রকল্প উদ্বোধনের অনুষ্ঠান।