ছবি: পিটিআই।
এক আইনের প্রতিবাদে হিংসা ছড়াল। প্রাণ গেল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলছেন, ‘‘এখন শান্তি আছে। জনতা ধীরে ধীরে বুঝছে, এই আইন কারও নাগরিকত্ব কাড়ছে না।’’ কিন্তু পুলিশের আক্রমণ? আইসিইউয়ে ঢুকে! শাহের বক্তব্য: কোনও উপদ্রবকারীকে তাড়া করতে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতেই পারে। কিন্তু হাজার পাথরের মুখে নিজের ও জনতার প্রাণ বাঁচানোর কর্তব্যও বুঝতে হবে। কারও প্রাণ সংশয় হলে তবেই পুলিশ গুলি চালায়।
রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে আশ্বস্ত করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। আজ নিজের মতো ব্যাখ্যা দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবুও ‘সন্তুষ্ট’ হতে পারছেন না ছাত্ররা। বিজেপির কথায় ভরসা না রেখে আজ ফের দিল্লির পথে নেমেছিলেন তাঁরা। মূলত জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকে। কিন্তু ছিলেন বাম সংগঠনের নেতা, যোগেন্দ্র যাদবও।
ফরাজ খানের মাথায় এখনও ফেট্টি। জামিয়ার লাইব্রেরির ভিতরে যে দিন পুলিশ ঢুকল, মার খেয়েছেন। পরে রাস্তায় প্রতিবাদে মাথা ফেটেছে। দু’দিন আগে প্রধানমন্ত্রী এত বোঝালেন, তার পরেও প্রতিবাদ? ফারাজের জবাব, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন সকলে
রোজগার পাবে। পেয়েছে? বলেছিলেন,
অর্থনীতি ভাল হবে। হয়েছে? তাঁর কোনও কথার যখন দাম নেই, তখন এনআরসি হবে না, সেটি মানারই বা কী কারণ?’’ বাকিদেরও একই ক্ষোভ। কথা ছিল মান্ডি হাউস থেকে শাহের বাড়ি পর্যন্ত যাবে মিছিল। তা হল না। পুলিশ যন্তর-মন্তর পর্যন্ত যেত দিল। শান্তিতেই। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবশ্য আজ বিজেপিও তাঁদের সমর্থিত ছাত্রদের নামিয়েছে। সিএএ-র পক্ষে আওয়াজ তুলেছেন তাঁরা।