ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির কাছে এ ব্যাপারে দরবার করেছিলেন তামিলনাড়ুর পরীক্ষার্থীরা। প্রতীকী ছবি।
জয়েন্টে বসার জন্য ক্লাস টেনের বোর্ডের পরীক্ষার নম্বর জানাতে হবে না তামিলনাড়ুর পরীক্ষার্থীদের। যদি তাঁরা ২০২১ সালে দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন, তবে পরীক্ষার বছর এবং বোর্ড হিসাবে তামিলনাড়ুর শিক্ষা পর্ষদের নাম বেছে নিলেই তাঁরা এই বিশেষ সুবিধা পাবেন। অতিমারির সময়ে অসমপূর্ণ পরীক্ষা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে যথাযথ নম্বরের বিশদ না থাকায় এই নির্দেশ দিয়েছে খোদ ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)।
এমনিতে জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেন পরীক্ষার আবেদনের ফর্ম ভর্তি করতে হলে দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষার নম্বর উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু তামিলনাড়ুর ছাত্র-ছাত্রীরা সম্প্রতিই এ ব্যাপারে তাঁদের সমস্যার কথা জানিয়ে এনটিএ-র দ্বারস্থ হয়। তারা জানায়, ২০২১ সালে অতিমারির সময়, তাঁদের পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়নি। ফলে বোর্ডের তরফে তাঁদের কোনও নম্বর না দিয়ে ‘পাস’ না ‘ফেল’ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলে ফর্ম ভর্তি করতে অসুবিধায় পড়ছেন তাঁরা। ছাত্রছাত্রীদের এই সমস্যার কথা জানার পরই দ্রুত ব্যবস্থা নেয় এনটিএ।
শনিবার একটি বিবৃতি দিয়ে তারা জানায়, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেন পরীক্ষা হতে চলেছে, তার আবেদনপত্রে তামিলনাড়ুর পরীক্ষার্থীদের দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষার নম্বর জানাতে হবে না। এনটিএ-র এক পদস্থ অধিকর্তা সাধনা প্রসার জানান, ছাত্র-ছাত্রীরা যখন জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেন পরীক্ষার সেশন-১ এর ফর্ম ভর্তি করবেন, তখন দশম উত্তীর্ণ হওয়ার বছরে ২০২১ সাল এবং বোর্ডের নামের জায়গায় তামিলনাড়ুর শিক্ষা পর্ষদ বেছে নিলেই তাঁদের দশমের নম্বর দেওয়ার শূন্য স্থানটি ‘ডিসেবল’ বা অকেজো হয়ে থাকবে। সংশ্লিষ্ট নম্বর তালিকার অন্যান্য বিভাগ— যেমন, মোট নম্বর, প্রাপ্ত নম্বর এবং নম্বরের শতাংশের হিসাবের বিভাগগুলিও আর দেখা যাবে না। এনটিএ জানিয়েছে, এর পরও যদি পরীক্ষার্থীদের ফর্ম ভরতে সমস্যা হয় তবে তারা সেটা মেল করে জানাত পারে। বা ফোন করতে পারে হেল্পলাইন নম্বরে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২৪ থেকে ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেন পরীক্ষা। ১৫ ডিসেম্বর থেকে এই পরীক্ষার জন্য অনলাইন আবেদন জমা নেওয়া শুরু হয়েছে।